ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি, তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৪ রানের হার সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার, রেকর্ডছোঁয়া সেঞ্চুরিতে উদ্ভাসিত রস টেইলর (১০৭), ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট নিয়ে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ ট্রেন্ট বোল্ট

দারুণ জয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দারুণ জয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দারুণ জয়ে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি পুনরুদ্ধার করল নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে হারিয়ে ২-০তে সিরিজ পকেটে পুরল কেন উইলিয়ামসনের দল। হ্যামিল্টনে অভিজ্ঞ রস টেইলরের উদ্ভাসিত সেঞ্চুরির (১০৭) ওপর ভর করে ৯ উইকেটে ২৮১ রানের স্কোর গড়ে স্বাগতিক কিউইরা। জবাবে ৪৭ ওভারে ২৫৭ রানে অলআউট হয় এ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (৬/৩৩) করে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ তারকা পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। আর গ্রেট মার্টিন ক্রোকে পেছনে ফেলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে নাথান এ্যাস্টলের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বাধিক ১৬ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেন টেইলর। অকল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছিল কিউইরা। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়। সিরিজ শুরুর আগে কোচ মাইক হেসন ট্রফি পুনরুদ্ধারে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন। মাঠে উইলিয়ামসনরা সেটিই করে দেখালেন। যদিও স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারসহ একাধিক তারকা ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে এই অস্ট্রেলিয়া অনেকটাই খর্বশক্তির। প্রথম ম্যাচের মতো সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডেতেও নাটকীয়তা কম হয়নি। ২৮২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এক পর্যায়ে ১৯৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পরপরই আউট হন ফিঞ্চ (৫৬) ও ট্রেভর হেড (৫৩)। সেখান থেকে সপ্তম ও অষ্টম উইকেট জুটিতে ৭৫ রান যোগ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্করা। প্রথম ওয়ানডেতে সাত নম্বরে নেমে অপরাজিত ১৪৬ রান করেছিলেন স্টয়নিস। সঙ্গীর অভাবে দল অলআউট হলে নাটকীয় ম্যাচে ৬ রানে হারতে হয়েছিল। স্টয়নিস এবার ৪২ রান করে ফেরার পর কামিন্স (২৭) আর স্টার্ক (২৯*) লড়াই করেছেন। অষ্টম উইকেটে ৫১ রান যোগ করে জয়ের আশাও জাগিয়েছিলেন দু’জনে। ৩ উইকেট হাতে রেখে ৩৩ বলে তখন অসিদের চাই সমান ৩৩ রান। সেখান থেকে ম্যাচটা পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট পাওয়ার পর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংই করেছেন তুখোড় এই পেসার। নিজের ৯ বলের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দিয়েছেন বোল্ট। ম্যাচে তার বোলিং ফিগার ১০-১-৩৩-৬। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এরআগে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব ছিল কেবল স্কট স্টাইরিস, শেন বন্ড ও টিম সাউদির। এরআগে ৬ রানের মধ্যে প্রথম উইকেট হারালেও ডিন ব্রাউনলি ও টেইলরের ব্যাটে ভর করে ২ উইকেটে ১৭৬ রান করে বড় সংগ্রহের ভিত পায় নিউজিল্যান্ড। অবশ্য ব্যক্তিগত ৬৩ রানে ব্রাউনলি ফেরার পর শেষ ১৮.১ ওভারে স্বাগতিকরা মাত্র ১০৫ রান যোগ করতে পারে। ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান টেইলর ৯৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১০১ বলে ১০৭ রানে আউট হওয়ার আগে ১৩টি চার মারেন। ১৭৮তম ওয়ানডেতে টেইলরের এটি তার ১৬ নম্বর সেঞ্চুরি। যার মধ্যদিয়ে গ্রেট মার্টিন ক্রোকে পেছনে ফেলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে এ্যাস্টলের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। শেষ দিকে ৩৪ বলে ৩৮* রান করেন স্যান্টনার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ও জেমস ফকনার নেন ৩টি করে উইকেট।
×