ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনা ব্যবসায়ী হত্যার চার্জশীট

চাচা-ভাতিজা অভিযুক্ত

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চাচা-ভাতিজা অভিযুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরে চীনা ব্যবসায়ী চ্যাং হিং সং হত্যা মামলায় দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন, নিহত চীনা নাগরিকের ব্যক্তিগত সহকারী ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পারভেজ (২৬) এবং তার ভাতিজা একই এলাকার রফিকুল আলম বাবুলের ছেলে মুক্তাদির রহমান রাজু (২০)। গত বৃহস্পতিবার যশোর চীফ জুডিশিয়াল আদালতে এই চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেন। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর যশোর উপশহর মহিলা কলেজের সামনে ২ নম্বর সেক্টরের ৩৪ নম্বর ফরিদা ভিলা নামক বাড়ি থেকে চীনা ব্যবসায়ী চ্যাং হিং সং-এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে উদঘাটন হওয়ায় খুব কম সময়ের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আটক দুই আসামি তাদের অপরাধের কথা আদালতে স্বীকার করেছে; যা জবানবন্দী হিসেবে বিচারক রেকর্ড করেছেন। ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, নিহত চীনা নাগরিক যশোরের ঘোপ জেল রোড বেলতলা এলাকার লিয়াকত হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি ইজিবাইকের ব্যাটারি সে দেশ থেকে নিয়ে এসে যশোরসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি করতেন। তার গুদাম ছিল উপশহরের মহিলা কলেজের সামনে ২ নম্বর সেক্টরের ৩৪ নম্বর ফরিদা ভিলা নামক বাড়িতে। নাজমুল হাসান পারভেজ নিহতের ব্যক্তিগত সহকারী হওয়ার সুবাদে তার টাকা কোথায় আছে তা সে ভালভাবে জানত। তার ধারণা ছিল দুই লাখ টাকার একটি চেক নেবে এবং বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাওনা ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভারতে চলে যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পারভেজ ঘটনার মাস দুয়েক আগে তার ভাতিজা রাজুকে যশোরে নিয়ে আসে। ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে তিনতলা বাড়িটির নিচতলার গোডাউনে চীনা নাগরিক চ্যাং হিং সংকে টাকার জন্য হাত-পা বাঁধে সহকারী পারভেজ ও তার ভাতিজা রাজু। এরপর রড বা লোহার পাইপ জাতীয় কোন বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত ও জখম করে। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে।
×