ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানের মুনাফা কমেছে

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিমানের মুনাফা কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যাত্রী পরিবহন বাড়লেও জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মুনাফা গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৮ কোটি টাকা কমেছে। বিমানের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিমান ৩২৪ কোটি টাকা মুনাফা করে। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪৮ কোটি টাকা কমে ২৭৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে লাভে থাকলেও এর পরিমাণ কমে আসে। পরপর দুই অর্থবছরে বিমান লাভ করেছে ৬০০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে বিমান রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩১০ কোটি টাকা রাজস্ব কর দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান যাত্রী বহন করেছে ২৩ লাখ ১৮ হাজার। এর আগের বছর যা ছিল ২০ লাখ ২০ হাজার। আর কার্গো পরিবহন খাতে বিমান ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৯ শত মেট্রিক টন মাল পরিবহন করেছে। যা আগের অর্থ বছরের চেয়ে সাত শতাংশ কম। আয় কমার কারণ হিসেবে বিমান বলছে, ২০১৬ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাজ্য সরকার কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণে কার্গো পরিবহন তুলনামূলক কিছুটা কম হয়েছে। ফলে আয়ও কমেছে। এ ছাড়া বিশ্ব বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে এ্যাভিয়েশন জেট ফুয়েলের তুলনামূলক বেশি দাম হওয়ায় খরচ বেশি হয়েছে। সীতাকু-ে বন্দরের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করলেন বন্দর চেয়ারম্যান নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকু-, চট্টগ্রাম ॥ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের পাশাপাশি নতুন দুয়ার খুলতে যাচ্ছে সীতাকু-ের মুরাদপুর এলাকায় প্রস্তাবিত নতুন বন্দরের জায়গা পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে। শনিবার সকালে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ দিদারুল আলমকে সঙ্গে নিয়ে বন্দরের জায়গা পরিদর্শন করেন বন্দর চেয়ারম্যান বিএসপিএনডিসিপিএসসি রিয়াল এ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি আমরা এ বন্দর করতে পারলে এ বন্দর থেকে আমাদের দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শতকরা এক ভাগ যোগ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এখানে আমরা ইকোনমিক জোন করে মাঝারি সাইজের বন্দর করতে পারব, যেটাতে ৬/৭ জেডির সঙ্গে লাইটারেজ জাহাজ রাখার জায়গার ব্যবস্থা করলে হবে। আর এ জায়গায় বন্দর করলে সবচেয়ে লাভবান পরিবহন ব্যবস্থা। খুব কম খরচে এখান থেকে যেকোন খালাস পণ্য ডেলিভারি দেয়া সম্ভব হবে। বন্দরের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কমোডর জুলফিকার আজিজ, কমোডর শাহীন রহমান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভুইয়া, চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ,পরিচালক পরিবহন গোলাম সরওয়ার, নাজমুল হক যান্ত্রিক চট্টগ্রাম বন্দর, চীফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মনজুরুল করিম চৌধুরী, চীফ ইঞ্জি. মাহমুদুল হক চৌধুরী, এস্টেট ম্যানেজার জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
×