ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউইয়র্ক আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন মার্কিন ফার্স্টলেডি

ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে মেলানিয়ার মানহানি মামলা খারিজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে মেলানিয়ার মানহানি মামলা খারিজ

ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে মার্কিন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের মানহানি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের এক কাউন্টি আদালতের বিচারক। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও গার্ডিয়ানের। মন্টিগোমারি কাউন্টির বিচারক শ্যারণ বারেল বৃহস্পতিবার এই মামলা খারিজ করে দেন। ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ব্রিটেনের ডেইলি মেইলের বিরুদ্ধে মার্কিন ফার্স্টলেডি ১৫ কোটি মার্কিন ডলার (১২ কোটি পাউন্ড) ক্ষতিপূরণের মামলার আরজি নিয়ে মেরিল্যান্ডের একটি আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডেইলি মেইল বিদেশী দৈনিক বলে মেরিল্যান্ডের বিচারক অভিযোগটি আমলে নেয়ার কোন কারণ নেই বলে জানান। সেøাভেনিয়ান বংশোদ্ভূত ৪৬ বছর বয়সী মেলানিয়ার স্বামী ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময়ই মেলানিয়ার মডেল জীবনের নগ্ন ছবিসহ নানা কর্মকা- গণমাধ্যমে উঠে এসেছিল। স্ত্রীর এই অতীত ট্রাম্পকে পিছু টানছে বলে প্রতিবেদন ছাপিয়েছিল ডেইলি মেইল এবং তাতে সেøাভেনিয়ার একটি ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত সংবাদ ও ছবি উদ্ধৃত করা হয়েছিল। গত শতকের ৯০ এর দশকে সেøাভেনিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন মেলানিয়া। এরপর তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ট্রাম্পকে বিয়ে করেন তিনি। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেলানিয়া নিউইয়র্কে উচ্চ পারিশ্রমিকে খ-কালীন যৌনসঙ্গী হিসেবে কাজ করতেন এবং সেই কাজের সূত্রেই ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার জানাশোনা হয়ে থাকতে পারে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা মানহানিকর দাবি করে আইনের আশ্রয় নেয়ার ঘোষণা দেন মেলানিয়ার আইনজীবীরা। আদালতে মেইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে আইনজীবীরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যটিতে প্রতি ঘণ্টায় ব্রিটেনের সংবাদপত্রটির চার হাজার ছয়শ’ প্রতিবেদন ইন্টারনেটে পড়া হয়। প্রতিদিন মেরিল্যান্ড থেকে ৭২ হাজার ব্যক্তি মেইলের ওয়েবসাইট খোলেন। কিন্তু তাদের এই যুক্তি হালে পানি না পাওয়ায় মেলানিয়ার আইনজীবীরা এখন নিউইয়র্কের আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন। কারণ নিউইয়র্কে ডেইলি মেইলের একটি অফিস রয়েছে।
×