ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাঁকোই ৫ গ্রামের মানুষের ভরসা ॥ ঘটছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সাঁকোই ৫ গ্রামের মানুষের ভরসা ॥ ঘটছে দুর্ঘটনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৩ ফেব্রুয়ারি ॥ সদর উপজেলার ভাড়ারা ওয়াপদা ক্যানেলে বাঁশের সাঁকোতে চলছে জীবনের ঝুঁকিতে পারাপার। এ ক্যানেলটিতে ব্রিজ না থাকায় পাঁচ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। জানা গেছে, ভাড়ারা ইউনিয়নের ওয়াপদা ক্যানেলে দীর্ঘকাল ধরে বাঁশের সাঁকোতে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সাঁকোর ওপারে অবস্থিত ভাড়ারা খাঁপাড়া ও ঘোড়াদহ খাঁপাড়ার অধিবাসীদের ক্যানেলটি পার হতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। চরের এ দুটি গ্রামের মানুষের স্কুল-কলেজ, হাট-বাজারে ক্যানেলের সাঁকো পার হয়ে যেতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের। চরের ছাত্রছাত্রীদের বাঁশের সাঁকো পার হয়ে আসিয়াব স্কুল, খয়ের বাগান সরকারী প্রাইমারী স্কুল, দড়িভাউডাঙ্গা হাই স্কুল, ভাড়ারা হাই স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রাইমারীর ছাত্রছাত্রীরা অভিভাবক ছাড়া এ সাঁকো পার হতে পারে না। যেদিন অভিভাবকরা ব্যস্ত— থাকেন সেদিন তাদের স্কুলে যাওয়া হয়ে ওঠে না। এ সাঁকো পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার মতো ঘটনা এখানে যেন নিত্যসঙ্গী। গত সপ্তাহে খাঁপাড়া গ্রামের আঞ্জুয়ার স্ত্রী শাহানা খাতুন আসিয়াব স্কুলে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার সময় সাঁকো থেকে দুজনই পড়ে যায়। শাহানা খাতুনের শরীরে বাঁশ ঢুকে গেলে তাকে গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দুর্ঘটনার কয়েকদিন আগে খাঁপাড়ার আমিরুলের মেয়ে আসিয়াব স্কুলের ছাত্রী অনিমা চাচির কোলে এ সাঁকো পার হতে গিয়ে দুজনই পড়ে আহত হয়। এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। অন্যদিকে এ সাঁকোর অপর প্রান্তের সরদারপাড়া, বিশ্বাসপাড়া, খাঁপাড়ার কৃষকদেরও চরাঞ্চলের জমিতে এ ক্যানেল পার হয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমিতে আবাদকৃত ধান, পেঁয়াজ, রসুন ও সবজি এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার করেই অপর প্রান্তে আনা হয়। ফসল পারাপারেও মাঝেমধ্যে কৃষকরা দুর্ঘটনার শিকার হন।
×