ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন মুল্লুকে যাচ্ছেন ম্যারাডোনা!

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মার্কিন মুল্লুকে যাচ্ছেন ম্যারাডোনা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ২২ বছর যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা। গত বছরের শেষভাগে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে মার্কিন সরকার। যে কারণে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মার্কিন মুল্লুকে যাওয়ার পথও উন্মুক্ত হয়েছে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের। এরই নমুনা মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যারাডোনার আমন্ত্রণ পাওয়ার মধ্য দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্রিং সেমিস্টারে ছাত্রদের সামনে বক্তৃতা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বরকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রে যখন একের পর এক ভিসা প্রত্যাখ্যান হচ্ছে, সেখানে ম্যারাডোনার এই আমন্ত্রণ নজর কেড়েছে অনেকের। বিশ্ব ক্রীড়া, ফুটবল, রাজনীতি এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতি এসব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবিত বিষয়বস্তু। এর ওপরই ম্যারাডোনাকে বক্তৃতা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। হার্ভার্ডের এই আমন্ত্রণে ম্যারাডোনা সাড়া দেন কি না এখন সেটিই দেখার বিষয়। কেননা কিউবার প্রয়াত রাষ্ট্রনায়ক ফিদেল কাস্ট্রোর ঘনিষ্ঠ ম্যারাডোনা বরাবরই মার্কিন রাজনীতির সমালোচনা করে এসেছেন। এরআগে ১৯৯৫ সালে একবার ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একটি আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ড্রাগ নেয়ার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছিলেন, তারপর আর কোনদিন দেশটিতে যাননি ম্যারাডোনা। সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারের নিষেধাজ্ঞা শুধু ড্রাগ নেয়ার কারণেই ছিল না, কিউবার প্রয়াত রাষ্ট্রনায়ক ফিদেল কাস্ট্রোর সঙ্গে বন্ধুতার কারণেও। মার্কিন প্রশাসনের বৈরী নজরে ছিলেন আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি ফুটবলার। যে কারণে ২০১৩ সালে একবার ডিজনিল্যান্ড ভ্রমণের জন্য ভিসা আবেদন করলেও বাতিল করে দেয় মার্কিন সরকার। তবে অবস্থা অনেকটাই বদলেছে, ২২ বছর পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ম্যারাডোনার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিছুদিন আগে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেন ম্যারাডোনা। সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, মাদক সেবন তার জীবনের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত। মাদকের কারণেই জাতীয় দল থেকে বিতর্কিত হয়ে বিদায় নেন ম্যারাডোনা। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে মাত্র দুই ম্যাচ খেলে বহিষ্কৃত হন ইফিড্রিন টেস্টে ধরা পড়ায়। এরপর আর কখনও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেয়া হয়নি। এর তিন বছর আগে ইতালিতে ড্রাগ টেস্টে তার শরীরে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে ১৫ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ১৯৯২ সালে ফিরলেও নেপোলি ছেড়ে যোগ দেন সেভিয়ায়। এরপর স্বদেশী ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে খেলে ১৯৯৭ সালে ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করেন বোকা জুনিয়র্সে।
×