ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরের ভাষাসৈনিক ‘নূরু ভাই’

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

লক্ষ্মীপুরের ভাষাসৈনিক ‘নূরু ভাই’

আবু নূরু মোঃ সামছুল ইসলাম প্রকাশ নূরু মোল্লা কারোর কাছে নুরু ভাই বলে পরিচিত যার। সংক্ষেপে আ. ন. ম সামছুল ইসলাম প্রকাশ নুরু মোল্লা। ১৯৫০ সাল থেকে সবার কাছে নূরু মোল্লা বা নূরু ভাই হিসেবে পরিচিত। বৃদ্ধ বয়সে বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দলীয় কর্মকা- চালাচ্ছেন। ১৯৩৭ সালের ৭ জুলাই (তৎকালীন বৃহত্তর নোয়াখালীর অধীন) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বসিকপুরের ফতেধর্মপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। ১৯৪৯ সালে লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার লনিনী কিশোর হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। পরের বছর ১৯৫০ সালে ঢাকা জগন্নাথ কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন। জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেন, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন। নুরু ভাই জানান, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান এবং ভারত পৃথক হন। এরপর প্রথমবারের মতো কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ব বাংলায় তথায় পূর্ব পাকিস্তানে এসে কার্জন হলের সভায় ঘোষণা দেন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু। ইংরেজীতে তিনি বলেন, ‘উর্দু শ্যাল বি, উইল বি এ্যান্ড মাস্ট বি দ্য স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজ অব পাকিস্তান।’ ওই সভায় শেখ মুজিবুর রহমান তখন সবার কাছে মুজিব ভাই (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু) দল বল নিয়ে সেখানে রাষ্ট্র ভাষা উর্র্দু ঘোষণা দেয়ার জোরালো প্রতিবাদ করেন। সেখান থেকে মুজিব ভাইকে গ্রেফতার করে পাক পুলিশ বাহিনী। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে আন্দোলন, সংগ্রাম ও মিছিল শুরু হয়। ধীরে ধীরে দাবানলের মতো আন্দোল ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। এর মাঝে মরহুম গাজী উল হকের সঙ্গে তিনি সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট এ্যাকশন কমিটির মেম্বার নির্বাচিত করা হয় তাকে। গোপনে গোপনে চলে তাদের সভা। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা তাদের সভা প্রতিবাদ চলতে থাকে নিয়মিতভাবে। এক পর্যায়ে ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলের সামনে জড়ো হলে পাক পুলিশ ইপিআর আমাদের ওপর অতর্কিতে গুলি চালায়। -মহিউদ্দিন মুরাদ, লক্ষ্মীপুর থেকে
×