ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোন আপোস নয়’

ওয়াশিংটন বিমানবন্দরে পাঁচ বছরের ইরানী শিশু আটক

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ওয়াশিংটন বিমানবন্দরে পাঁচ  বছরের ইরানী শিশু আটক

ওয়াশিংটনের ডালেস বিমানবন্দরে ইরানী বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এক পাঁচ বছরের শিশুকে দীর্ঘ সময় সেখানে আটকে রাখা হয়েছিল। শিশুটি মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোন আপোস নয়। চুনোপুঁটিও ফাঁক গলে যেতে পারবে না। শিশুটিকে আটকে রাখার পর হোয়াইট হাউস এ কথা বলে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের। ৯/১১-এর পর যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তার নামে বাড়াবাড়ির অভিযোগ উঠেছে আগেও। তবে নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণার পর আরও এক পা এগোল নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ওই শিশুকে বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়। জন্মদিনে এক আত্মীয়ের সঙ্গে ইরান থেকে ওয়াশিংটন ফিরছিল সে। কিন্তু ডালেস বিমানবন্দরে নামতেই বিপত্তি বাধে। নতুন অভিবাসন নীতি মেনে প্রায় শতাধিক মানুষের সঙ্গে তাকেও সন্দেহভাজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এদিকে ছেলের আসার কথা জানিয়ে আগেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়েছিলেন তার মা। তা সত্ত্বেও বিমানবন্দরের বাইরে ছেলের দেখা না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। ততক্ষণে বিমানবন্দরের বাইরে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রায় পাঁচঘণ্টা পর ছেলের দেখা পান তিনি। ছেলে বিমানবন্দরের বাইরে আসতেই কোলে তুলে নেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। আন্দোলনকারীদের ক্যামেরায় গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে। সেটি সামনে আসতেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ট্রাম্প সরকারের নিন্দায় সরব হন মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ক্রিস ভান হলেন। আগে থেকে নোটিস দেয়া সত্ত্বেও শিশুটিকে কেন হয়রানি করা হলো জানতে চান। তবে ক্ষমা চাওয়া তো দূর, এই ঘটনার জন্য বিন্দুমাত্র আফসোস করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উল্টো শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক কেউই দেশের নিরাপত্তার উর্ধে নয় বলে দাবি করেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের মতে দেশের নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কথা ভেবেই আগামী ৯০ দিনের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এতে অন্যায়ের কি আছে? শরণার্থী প্রবেশ বন্ধের ঘোষণার পর সপ্তাহান্তে প্রায় ৩ লাখ ২৯ হাজার মানুষ আমেরিকায় পা রেখেছেন। তাদের মধ্যে ১০৯ জনকে আটক করা হয়। ক্ষমতায় আসার এক সপ্তাহ পর, গত ২৭ জানুয়ারি ইরাক, ইরান, সুদান, সিরিয়া, সোমালিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন এই সাতটি মুসলিম দেশ থেকে আসা মানুষের আমেরিকায় প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
×