ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশলবিদ ব্যানন

দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধে জড়াবে যুক্তরাষ্ট্র!

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধে জড়াবে যুক্তরাষ্ট্র!

দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বীপ নির্মাণ নিয়ে আগামী দশ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং এতে কোন সন্দেহ নেই। একই সময়ে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন, দক্ষিণপন্থী নিউজ ওয়েবসাইট ব্রেইটবার্টের সাবেক প্রধান ও হোয়াইট হাউসের বর্তমান প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যানন এ কথা বলেছেন। খবর গার্ডিয়ানের। ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার প্রথম সপ্তাহেই ব্যানন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। রীতির বাইরে গিয়ে একটি বড় পদক্ষেপে তাকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রিন্সিপালস কমিটিতে নিয়োগ দেয়া হয় এবং সম্প্রতি সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপে তিনি ভূমিকা রাখেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন, ট্রাম্পের আদেশ গ্রীনকার্ডধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কিন্তু ব্যানন তা মানতে নারাজ। ট্রাম্প টিমের অনেকেই চীনের স্পষ্ট সমালোচক। ব্যাননও তাদের একজন। এক রেডিও শো’তে ব্যানন আমেরিকার জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ দুটি হুমকির কথা উল্লেখ করেন। আর তাহলোÑ চীন ও ইসলাম। তিনি ২০১৬ সালের মার্চে বলেন, ‘আমরা আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি। আর তাতে কোন সন্দেহ নেই। তারা (চীন) দক্ষিণ চীন সাগরে বালুভরাট করে মূলত স্থির বিমানবাহী রণতরীর মতো দ্বীপ গড়ে তুলছে এবং সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করছে। এই সাগরকে তারা নিজেদের এলাকার অধিভুক্ত বলে দাবি করছে। তারা আমাদের চোখের সামনে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবেলা করতে আসছে। আর আপনারা ভেবে দেখুন, কত বড় মুখোমুখি অবস্থান হবে সেটি।’ চীন বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই তাদের এলাকার মধ্যে পড়েছে। অন্য বেশ কয়েকটি দেশও এই সাগরে তাদের অংশ রয়েছে বলে দাবি করছে। চীন তাদের অবস্থান জোরদার করতে সাগরটির শৈলশিলাতে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করেছে। যক্তরাষ্ট্র সাতটি কৃত্রিম দ্বীপে চীনের উপস্থিতি মেনে নেবে না- মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের এমন মন্তব্যে ব্যাননের মনোভাব ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহলে তার অবস্থান চীনের সঙ্গে সামরিক লড়াইয়ের আশঙ্কা ফুটিয়ে তুলেছে। ব্যানন ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক রেডিও শো’তে বলেন, ‘আপনাদের সামনে রয়েছে সম্প্রসারণবাদী ইসলাম ও সম্প্রসারণবাদী চীন। ঠিক তাই নয় কী? তারা উদ্ধত। তারা তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আর তারা মনে করছে, ইহুদী খ্রিস্টান অধ্যুষিত পশ্চিমা বিশ্ব পিছু হটছে।’ ব্যাননের দৃষ্টিতে শুধু চীনের সঙ্গে যুদ্ধই নয়, মার্কিন সৈন্যদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ও আরেকটি যুদ্ধ অপেক্ষা করছে। তিনি ২০১৫ সালের নবেম্বরে বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে মধ্যপ্রাচ্যে আবার এক বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি।’ তিনি ইসলামকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে উগ্র’ ধর্ম বলেও অভিহিত করেন।
×