ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

আজ ১৬ দেশের আলোকচিত্রীর ছবিমেলা শুরু

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আজ ১৬ দেশের আলোকচিত্রীর ছবিমেলা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ছবি মেলা। অবস্থান্তর প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত মেলার নবম আসরে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের একঝাঁক খ্যাতিমান আলোকচিত্রী। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৫টি গ্যালারিতে দর্শকরা দেখতে পাবেন তাঁদের ধারণকৃত বহুমাত্রিক ছবি। এর বাইরে পুরনো ঢাকার বিউটি বোর্ডিং, ওয়াইজঘাটের বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও নর্থব্রুক হল রোডের লাল কুঠিতে থাকবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন। ৪ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ সøাইড শো। এবারের মেলায় আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে দেশের পথিকৃৎ দুই আলোকচিত্রীকে। তাঁরা হলেন পোর্ট্রেটের কবি হিসেবে পরিচিত নাসির আলী মামুন ও সাঈদা খানম। গত আটটি মেলার ধারাবাহিকতায় নবম আসরের আয়োজন করছে প্রতি দুই বছরে দৃক পিকচার লাইব্রেরি লিমিটেড ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট। আলোকচিত্রের এ বৃহৎ আয়োজনে প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকছে কর্মশালা এবং পোর্টফলিও রিভিউয়ের মতো শিক্ষামূলক নানা আয়োজন। ‘অবস্থান্তর’ বিষয়কে উপজীব্য করে ১৬টি দেশের ২৭ জন আলোককচিত্রীর ৩১টি প্রদর্শনী নিয়ে সজ্জিত হবে এবারের ছবি মেলা। এছাড়া নবম ছবি মেলায় ফেলো হিসেবে নির্বাচিত ১০জন বাংলাদেশী শিল্পীর বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে। ছবিমেলা আয়োজন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উৎসব পরিচালক শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, সাহরিয়া শারমিন, মেলার কিউরেটর মুনেম ওয়াসিফ, রেজাউর রহমান, মাহবুবুর রহমান, তানজিম ওয়াহাব, সালাহউদ্দিন আহমদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মুনিরা মোরশেদ মুননী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে এই ছবিমেলা পরিণত হয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ আলোকচিত্র উৎসবে। এটি আমাদের গর্বের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ উৎসবের মাধ্যমে বিশ্বের পথিকৃৎ আলোকচিত্রীদের ছবি দেখার যেমন সুযোগ হয় তেমনি এদেশের আলোকচিত্রীরাও তাদের ছবিকে মেলে ধরতে পারেন বিশ্ব দরবারে। সব মিলিয়ে যারা ছবি তুলতে ভালবাসে তাদের উজ্জীবিত করবে এ প্রদর্শনী। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ছবি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ছবিমেলায় অংশ বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া পাঁচ আলোকচিত্রী হলেন নাসির আলী মামুন, নাঈম মোহাইমেন, সাহরিয়া শারমিন, দেবাশিষ চক্রবর্তী ও তৌফিকুর রহমান অনীক। আয়োজনের উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনীর মধ্যে থাকবে ভারতের কানু গান্ধীর ‘কানু’স গান্ধী’, বাংলাদেশের নাসির আলী মামুনের ‘দ্য পোয়েট উইথ দ্য ক্যামেরা, ফটোগ্রাফস অব নাসির আলী মামুন/ফটোজিয়াম (১৯৭২-১৯৮২)’, ভারতের পুষ্পমালা এনের ‘নেটিভ উইমেন অব সাউথ ইন্ডিয়া : ম্যানারস এ্যান্ড কাস্টমস (২০০০-২০০৪)’, দেশের নাঈম মোহাইমেনের ‘ইউনাইটেড রেড আর্মি’ ও যুক্তরাজ্যের স্ট্যানলি গ্রিনের ‘ওপেন উন্ড’। শিল্পকলার চিত্রশালার পাঁচটি গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনী সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উš§ুক্ত থাকবে। দুই সপ্তাহব্যাপী ছবিমেলা শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। চারুকলার কারুশিল্প বিভাগের বার্ষিক প্রদর্শনী ॥ গ্যলারিতে শোভা পাচ্ছে শালিক, ময়না, টিয়া, দোয়েলসহ বিভিন্ন পাখির কম্পোজিশন। এর কোনটি তৈরি হয়েছে বাটিক মাধ্যমে আবার কোনটি সৃজিত হয়েছে ট্যাপেস্ট্রি ক্যানভাসে। পিতলের তৈরি নারী ও প্রকৃতির দৃশ্য, কাঠের তৈরি হাতি, মাছসহ বিভিন্ন প্রাচীন মূর্তির অবায়ব। বিভিন্ন মাধ্যমে আঁকা হয়েছে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির দৃশ্য। এছাড়াও রয়েছে পেন্সিল স্কেচের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিসিসের চিত্র। এসব শিল্পকর্ম নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে কারুশিল্প বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০১৬। বৃহস্পতিবার সকালে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পী অধ্যাপক আবদুস শাকুর শাহ্, করুশিল্প বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহাম্মদ মোল্লা, অধ্যাপক মোহাম্মদ নজীব ও ফারহানা ফেরদৌসী। সভাপতিত্ব করেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। প্রদর্শনী চলবে ৮ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। ‘জল ও জনের গল্প’ ॥ বিশ্ব জলবায়ু দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ১ নম্বর গ্যালারিতে চলছে ‘জল ও জনের গল্প’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বৃহস্পতিবার সকালে এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। প্রদর্শনীতে সোনাঝরা ধান, সখ্য, একতা, গোধূলি, ছায়াবীথি, ভরসা, কাপ্তাই, দৃষ্টি, অস্তিত্ব, মৃত্যুঞ্জয়, শূন্যতা, অনুরণন, নীলচে দুপুর, ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা, নিহারী, বেলাশেষে, চাকা, গন্তব্য, আবহমান, জলকন্যা, দুরন্ত শৈশব, একলা হিজল শিরোনামের ছবিগুলোতে বাংলাদেশের হাওড় অঞ্চলের মানুষের জীবন সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ মুজিবুর রহমান ও সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। প্রদর্শনীতে হাওড় অঞ্চলে ব্র্যাকের কার্যক্রম নিয়ে পাঁচ মিনিটের একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শিত হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত।
×