ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের দামী আলোকচিত্র

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিশ্বের দামী আলোকচিত্র

ভুতুড়ে ছবি ছবিটি দেখুন। অস্ট্রেলিয়ার ফটোগ্রাফার পিটার লিক ছবিটি তুলেছেন। ছবিটির শিরোনাম ‘ফ্যান্টম’। না, এটি কোন ভূতের ছবি নয়। এরিজোনার এন্টিলোপ ক্যানিয়নে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটা গুহার ভেতরে গুহার ওপর থেকে আলো আসছে। সেই আলো অবয়ব তৈরি করছে। সাদাকালোতে তোলা এই ছবি বিশ্বের অন্যতম দামী একটি ছবি। দাম কত? কী মনে হয় আপনার, একটা সাদাকালো ছবির একটা প্রিন্টের সর্বোচ্চ দাম কত হবে? এক হাজার, দশ হাজার, এক লাখ, দশ লাখ...। না, আপনি অনুমানের ধারে কাছেও নেই। ২০১৪ সালে ছবিটি নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬৫ লাখ ডলারে। আর ছবির দাম এত কেন? সেই হিসাব করতে হলে চিত্রকলা, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি বিষয়ে একটু গুগলিং করে নিন। উল্লেখ্য, পিটার লিকের এই ছবি বিক্রির রেকর্ডে এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফটোগ্রাফ। এই ছবিটার সঙ্গে আরও দুটো ছবি মিলিয়ে ওই নিলামে পিটার লিক আয় করেছেন ১ কোটি ডলার। কে কিনেছেন সে খবরটি গোপন আছে। আর নিজের সম্পর্কে পিটার লিক বলেছেন, ‘আমার সকল ছবির উদ্দেশ্য হলো প্রকৃতির ক্ষমতা তুলে ধরা এবং কাউকে এর সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করা।’ সাজানো প্রকৃতি বিশ্বের সবচেয়ে দামী ছবিটির মালিক পিটার লিক। কিন্তু এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফটোগ্রাফার বলা যায় আন্দ্রেস গুরস্কিকে। জার্মান এই ফটোগ্রাফার বিশাল আকারের সব ছবি তোলেন। সাধারণত ল্যান্ডস্কেপ (প্রকৃতিচিত্র) কিংবা স্থাপত্যকলার ছবিই বেশি তোলেন। তার তোলা ছবি ‘রাইন-২’ বিশ্বের দ্বিতীয় দামী ছবি। ৪৩ লাখ ডলারে বিক্রি হওয়া এই ছবিটি আপাতভাবে খুবই সাধারণ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একদম চিত্রকলার মতোই অঙ্ক কষে সমুদ্র, আকাশ, জমি আর এক চিলতে পথ রয়েছে মাপে মাপে বসানো। রঙের ব্যবহারও খুব হিসাব করে করা। মূলত ছবিটি এমন ছিল না। গুরস্কি এই ছবি থেকে একটা ফ্যাক্টরি ভবন, পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের সরিয়ে দিয়েছেন, যেন দর্শক স্রেফ রাইন নদীর প্রকৃতি অনুভব করতে পারে। এক সাক্ষাতকারে গুরস্কি বলেন, ‘খুব স্বল্প উপাদান ব্যবহার করে এ ছবি অনেক কথা বলে... আমার জন্য এটি একটি রূপকধর্মী ছবি যা জীবনের মানে এবং চারপাশের সবকিছু কেমন থাকা উচিত তা তুলে ধরে।’ সেলফিরও আগে আপনারা যারা নিজেদের সেলফিপ্রেমী ভাবেন তারা আমেরিকান ফটোগ্রাফার, চলচ্চিত্রকার সিনথিয়া মরিস সিডনি সারম্যানকে জীবনের আদর্শ হিসেবে নিতে পারেন। এই বিখ্যাত ফটোগ্রাফার যা করেন একাই করেন। তিনি সিরিজ ছবি তোলেন এবং সবচেয়ে বেশি নিজের ছবি তোলেন। নানা ভঙ্গিতে আত্মপ্রতিকৃতি তোলায় তিনি বেশ দক্ষ। নিজের স্টুডিওতে নিজেই তিনি স্ক্রিপ্ট করেন, পরিচালনা করেন, মেকআপ দিয়ে, নিজেই মডেল হয়ে নিজের ছবি তোলেন নানা কৌশলে। তারই একটি ছবির নাম ‘শিরোনামহীন-৯৬।’ ’৯৮ সালে তোলা এই ছবিটি বিক্রি হয়েছিল ৩৯ লাখ মিলিয়ন ডলারে। রাইন-২ এর আগে এটাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামী ছবি। রাইন এসে একে টেক্কা দিলো আর ছবিটিকে পেছনে ফেলে দিল ফ্যান্টম। সিডনি সারম্যানের এই ছবি এখনও সংগ্রাহকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। মুম রহমান
×