ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিচিত্র তথ্য

আইস সুইমিং

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আইস সুইমিং

বিপজ্জনক শখ অভিজ্ঞ ‘সিন্ধুঘোটক’ না হলে, বরফ সাঁতার সাধারণ মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। পানিতে শরীরের তাপমাত্রা কমে বাতাসের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি তাড়াতাড়ি। কাজেই তিন মিনিটের বেশি সময় বরফ ঠা-া জলে কাটালে জ্ঞান হারানোর ভয় আছে। ছোটদের সাহস রাশিয়াতে দু’বছর বয়সীরাও ধীরে ধীরে বরফজলে স্নান করায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সম্প্রতি কয়েক বছরে রাজধানী মস্কোয় বরফ সাঁতারুদের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। বরফ ঠা-া জলে অনেকেই বরফ ঠা-া জলে একটু বিশ্রাম নেন। অনেকেই মনে করেন বরফ জলে নামলে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের হার্ট এ্যাটাক হয়ে যাবে, অথবা নিউমোনিয়া হবে। কিন্তু অনুরাগীদের মতে বরফ সাঁতারে নাকি শরীর তাজা হয়। সিন্ধুঘোটক রুশ বরফ সাঁতারুরা নিজেদের বলেন ‘মর্ঝি’ বা সিন্ধুঘোটক। ‘সিন্ধুঘোটক ক্লাবের’ সদস্যরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে বরফ ঠা-া পানিতে ঝাঁপ খান– কোন রকম ড্রাইভিং সুট কিংবা অন্য কোন ধরনের সুরক্ষা ছাড়া, শুধু গ্রীষ্মের সুইমসুট পরে। খ্রিস্টীয় এপিফানি রাশিয়ায় বরফ সাঁতারের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণটি হলো তথাকথিত বরফে ব্যাপটিজম : পুরু বরফে ক্রুশের আকারের গর্ত খোঁড়া হয়। রাশিয়ার সনাতনপন্থী খ্রীস্টানরা এপিফানি পরব পালন করেন ১৯ জানুয়ারি তারিখে। প্রথায় বলে, এদিন নাকি পানি পবিত্র হয়ে যায় ও সব পাপ ধুয়ে দিতে পারে। সোভিয়েত আমলের পরের প্রথা ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের আগে রাশিয়ার খুব কম মানুষই বরফে সাঁতার কাটতেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কিন্তু বরফ সাঁতার খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
×