ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্যাশনেবল সিঙ্গেল কামিজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ফ্যাশনেবল সিঙ্গেল কামিজ

কামিজ নারীদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী এবং মার্জিত পোশাক। কিন্তু কামিজ এখন শুধু ঐতিহ্যের ভেতরেই বিদ্যমান নেই। কামিজ এখন কেতাদুরস্ত পোশাক হিসেবে মহিলাদের কাছে পরিচিত আছে। বর্তমান সময়ে ডিজাইনাররা বিভিন্ন ধরনের কামিজ বাজারে এনেছে। যা বিভিন্নভাবে নামকরণ করছে জনপ্রিয়তার জন্য। কামিজ মানুষ শুধুমাত্র সাধারণভাবেই ব্যবহার করছে না বরং এটি মিশে আছে সংস্কৃতির সঙ্গে। তাই কামিজ পুরো পৃথিবীতে একটি জনপ্রিয় পোশাক। ধনী-গরিব সবার কাছেই এই পোশাকটি জনপ্রিয়। যত দিন যাচ্ছে কামিজে আসছে ভিন্নমাত্রা। কামিজে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। অনেক আদি যুগ থেকে কামিজের প্রচলন। সালোয়ার কামিজ প্রধানত এসেছে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে। নারীকে সবচেয়ে সুন্দর ও মার্জিত দেখায় কামিজে। জাঁকজমকপূর্ণ কামিজ আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যে কোন অনুষ্ঠানে কামিজ পরা যায়। হালকা রং, গারো রং যে কোন কালারের সমন্বয় এ সালোয়ার কামিজ হয়ে থাকে। কামিজের রং আপনাকে আরও ফুটিয়ে তুলবে। সুতরাং নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য আগে সঠিক রং বাছাই করুন। যে কোন উচ্চতার, রূপ বা ওজনের মেয়েদের কাছে আস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই কোন নারীর অতিরিক্ত কোন ওজন থাকলে ভাবার কোন কারণ নেই তাকে কেমন লাগবে। শীতের মাঝে আপনি যে কোন কাপড়ের কামিজ পরতে পারেন। জর্জেটের কাপড়, সুতি কাপড়ের, লিলেনের ওপর। কিন্তু গরমের জন্য আপনি সব কাপড় নির্বাচন করতে পারেন না। কিন্তু এখন চলছে গরমকাল। তাই গরমের জন্য আপনার সুতি সালোয়ার কামিজ সব চাইতে বেশি ভাল হয়। একটা সিঙ্গেল কামিজ, সঙ্গে আপনার পছন্দসই ওড়না বা সালোয়ার পরে নিতে পারেন, যখন যেটা ভাল লাগে। থ্রিপিসের বদলে শুধু একটি কামিজ বা সিঙ্গেল কামিজ খুব চলছে এখনকার ফ্যাশনে। সিঙ্গেল কামিজের ডিজাইন, কাটিং, রংসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই কামিজগুলো লং কামিজের কাটিংয়েও পাওয়া যায়। অর্থাৎ বর্তমান ফ্যাশনের ধারা বজায় রেখে কামিজগুলোকে লম্বা করা হচ্ছে। এগুলো লং হাতারও হয় আবার স্লিভলেসও পাওয়া যায়। আর কাপড়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভয়েল, লিলেন, ডুপিয়ান, ডবি ফেব্রিক্স। হালকা রঙের সুতি, লিলেন, খাদি আর তাঁত কাপড়ে তৈরি হচ্ছে নকশাদার স্লিভলেস কামিজ আর কুর্তা স্টাইলের লম্বা কামিজ। উৎসব আর পার্বণের জন্য বেছে নেয়া হচ্ছে সিল্ক, মসলিন, অ্যান্ডি সিল্ক, তসর, নেট, জর্জেটসহ নানা গর্জিয়াস কাপড়। সিল্ক, মসলিন, তসর, জর্জেট, নেটের মতো গর্জিয়াস কাপড়গুলোতে কারচুপি, স্প্রে, লেস, প্যাচ-ওয়ার্ক, সিকুইনসহ নানা ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটা ডিজাইনেও প্যাটার্ন, চেক কাপড়, লেস, প্যাচ-ওয়ার্ককে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে মেরুন, হলুদ, সবুজ, সাদা রঙের পাশাপাশি কালো, কমলা, বাদামি, কমলা, ম্যাজেন্টা রঙের শেড লক্ষণীয়। পছন্দসই যে কোন জিন্স, লেগিংস, জেগিংস অথবা ফ্যাশনেবল সালোয়ারের সঙ্গে পরা যাবে এই সিঙ্গেল সুতির কামিজগুলো। জিন্স কিংবা লেগিংস ছাড়াও সিঙ্গেল কামিজ পরতে পারেন ধুতি, চুড়িদার সালোয়ারের সঙ্গে। একটা সিঙ্গেল কামিজ, সঙ্গে আপনার পছন্দসই ওড়না বা সালোয়ার পরে নিতে পারেন, যখন যেটা ভাল লাগে। থ্রিপিসের বদলে শুধু একটি কামিজ বা সিঙ্গেল কামিজ খুব চলছে এখনকার ফ্যাশনে। সিঙ্গেল কামিজের ডিজাইন, কাটিং, রংসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া। অঞ্জন্স, নগরদোলা, কে-ক্রাফট, আড়ং, বসুন্ধরা সিটিসহ দেশের প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে এই সিঙ্গেল কামিজ। সিঙ্গেল কামিজের দাম ৯০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া মনের মতো কাপড় কিনেও বানিয়ে নিতে পারেন সিঙ্গেল কামিজ। সিঙ্গেল কামিজ বানাতে দেড় গজ কাপড় লাগবে। যদি খুব বেশি ঝুল আর লং হাতার বানাতে চান তাহলে দুই গজ কাপড় লাগতে পারে। মজুরি পড়বে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা সুতির কামিজের ক্ষেত্রে। আর সুতির বাইরে যে কোন কাপড়ের জন্য মজুরি রাখা হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। যে কোন টেইলার্সে অর্ডার দিয়ে আপনি বানিয়ে নিতে পারেন পছন্দমতো সিঙ্গেল কামিজ। আর রেডিমেড সিঙ্গেল কামিজের দাম পড়বে ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। সঙ্গে জিন্সের দাম পড়বে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। বিভিন্ন রঙের লেগিংস কিনতে পারবেন ২০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। সিঙ্গেল ওড়না কিনতে পারবেন ১৮০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। ছবি : নাঈম ইসলাম
×