ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলী-তালতলীতে এখনও পৌঁছেনি পাঠ্যবই

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আমতলী-তালতলীতে এখনও পৌঁছেনি পাঠ্যবই

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ আমতলী ও তালতলী উপজেলায় অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ৯ বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে এখনও পৌঁছেনি। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দু’উপজেলায় এ বছর বইয়ের চাহিদা ছিল তিন লাখ। এর মধ্যে আমতলী ৪৪ বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৪৫ এবং তালতলী ২৩ বিদ্যালয়ে ৯৬ হাজার ৩৫৫। ১ জানুয়ারি দুই উপজেলায় দুই লাখ আশি হাজার বই বিতরণ করা হয়েছে। ওই সময় ছাত্রছাত্রীদের হাতে সব পাঠ্যবই দিতে পারেনি। এক মাস পেরিয়ে গেলেও অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচয়, হিন্দু ধর্ম ও নবম শ্রেণীর বাংলা প্রথম পত্র, ইংরেজী প্রথম পত্র, উচ্চতর গণিত, জীব বিজ্ঞান, বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচয়, ইতিহাস ও চারুকলা বিষয়ের বই পৌঁছেনি। আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অন্দ্রিলা কুন্ড, সেঁজুতি, প্রেমী ও সাফিন আহম্মেদ সানি জানান, বাংলা প্রথম পত্র, ইরেজী প্রথম পত্র, উচ্চতর গণিত, জীব বিজ্ঞান বই আমরা এখনও পাইনি। বই না পাওয়াতে লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ছাত্রী সুমনা জানান, এখনও ইতিহাস ও বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচয় বই পাইনি। আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন, সুষ্ঠুমতে বই বিতরণ করা হলেও কয়েকটি বিষয়ের বই এখনও পৌঁছানি। কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথ ॥ দূরত্ব কমলেও ভাড়া কমেনি নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ১৭ ফেরি, ৭৬ লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোটে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। ১৫ জানুয়ারি থেকে এ নৌপথের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার কমলেও কমেনি ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটের ভাড়া। এতে ক্ষুব্ধ এ নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন চালকরা। এ অবস্থায় ভাড়া কমানোর ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন সংশ্লিষ্টরা। ফেরি ভাড়া কমানোর কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী। কাওড়াকান্দি ঘাট চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে কাঁঠালবাড়িতে স্থানান্তর করে সরকার। ফেরিঘাট স্থানান্তরের ফলে এই নৌপথে পদ্মা নদীর দূরত্ব ১৩ থেকে ৫ কিমি কমে ৮ কিমিতে দাঁড়ায়। এতে একদিকে যেমন সাশ্রয়ী হচ্ছে জ্বালানি তেলের, অন্যদিকে মাত্র ৪৫ মিনিটেই সম্ভব হচ্ছে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে। কিন্তু নৌযানগুলোতে সেই আগের নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে ক্ষোভ জানিয়ে দ্রুত ভাড়া কমানোর দাবি করছেন যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন চালকরা। এই নৌপথে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী বিমল ম-ল বলেন, নৌপথের দূরত্ব কমলেও সরকার এখনও ভাড়া কমাচ্ছে না। আমরা দ্রুত নৌপথের দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া পুনর্নির্ধারণের দাবি জানাই। ভাড়া কমানো নিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, কয়েক দফা জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই সময়ে ফেরি ভাড়া বাড়ানো হয়নি। তাই এখন নৌপথের দূরত্ব কমলেও ফেরি ভাড়া কমানোর কোন সুযোগ নেই। আর লঞ্চ ও স্পিডবোটের ভাড়া কমানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মালিকদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
×