ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পুুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আবারও মূল্য সূচকের বড় ধরনের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০৮ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেনও কমেছে টানা অষ্টম দিনের মতো। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, গত আড়াই মাসে পুঁজিবাজারে প্রবৃদ্ধি ছিল ২৪.৫০ শতাংশ। তাই অনেকেই এখন শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। একইসঙ্গে শেয়ারের দর বাড়ার কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমাও বেড়েছে। তাই তাদের বিনিয়োগ সমন্বয়ে শেয়ার বিক্রি করতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে বেশ কিছু কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে আগের তুলনায় মুনাফা কম হয়েছে। সেটিরও কিছুটা নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। সর্বশেষে মার্জিন ঋণের কারণে ঋণাত্মক হিসাবগুলোর শেয়ার কেনা বেচার শেষ সুযোগ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর পক্ষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন আবেদন না করার কারণে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কোন লেনদেন করতে পারছে না। সেটিও বাজারের গতি কমিয়ে দিয়েছে। সবমিলে বাজারে একটি দর সংশোধনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৭৪৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ১৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা কম। বুধবার ডিএসইতে ৮৮২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৭ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪, কমেছে ২৭৩ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির শেয়ার দর। এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ১০৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৫৪ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৯৫৬ পয়েন্টে। আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের প্রাত্যহিক বাজার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, সকালে বড় ধরনের দরপতন থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার। ফলে সার্বিকভাবে প্রধান সূচকটি আগের দিনের চেয়ে মোট ২ শতাংশ করে কমেছে। একইসঙ্গে ব্লু চিপসের শেয়ারগুলোও কমেছে ১.৮ শতাংশ হারে। সবমিলে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও কমেছে। দিনটিতে ব্যাংক খাতের দর কমেছে ৩ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে ২.৯০ শতাংশ ও বীমা খাতের দর কমেছে ২.২৬ শতাংশ হারে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬০৪ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৯, কমেছে ২০৭ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির।
×