ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গরসাচকে বিচারপতি পেতে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

গরসাচকে বিচারপতি পেতে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি পদে তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সিনেটের অনুমোদন পাওয়ার লক্ষ্যে চরম পদক্ষেপ নিতে বুধবার নিজ রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটরা তার মনোনীত নেইল গরসাচের বিচারপতি হওয়ার পথ আটকে দিলে নিয়ম পাল্টিয়ে অনুমোদন প্রশ্নে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের বিধান করতে তিনি রিপাবলিকানদের বলেছেন। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ইয়াহু নিউজের। ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সিনেটে ৫২-৪৮ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা বুধবার আভাস দেন যে, তারা গরসাচের অনুমোদনের লক্ষ্যে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার স্থলে ৬০ ভোট দাবি করে ফিলিবাস্টার নামে এক পদ্ধতিগত বাধা দাঁড় করাবেন। প্রেসিডেন্ট সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি পদে মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফিলিবাস্টার দূর করতে সিনেটের দীর্ঘদিনের নিয়মগুলো সিনেটস্থ রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককোনেলের প্রতি আহ্বান জানান। যদি ডেমোক্র্যাটরা গরসাচের অনুমোদন আটকে দেয়, তবেই এ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এর ফলে রিপাবলিকানরা বর্তমানে প্রয়োজনীয় ৬০ ভোটের পরিবর্তে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাতেই গরসাচের মনোনয়ন অনুমোদন করিয়ে নিতে পারবেন। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে কনজারভেটিভ এ্যাডভোক্যাসি গ্রুপগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, যদি আমরা সেই অচলাবস্থায় পড়ি, তবে আমি বলব, মিচ, চরম পদক্ষেপ নিন। গরসাচ সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি এরূপ গুণবান ব্যক্তি আটকা পড়ে যান, তবে তা একেবারেই লজ্জাজনক বিষয় হবে। যদি গরসাচ সিনেটে বিচারপতি পদে অনুমোদিত হন, তবে সুপ্রীমকোর্টে কনজারভেটিভদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পুনরুদ্ধার হবে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারিতে জাস্টিস এ্যান্টেলিম স্ক্যালিয়ার মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে এরূপ সংখ্যাগিরষ্ঠতা অক্ষুণœ ছিল। কোর্টের আদর্শিক দিক পরিবর্তন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গর্ভপাত, মৃত্যুদ-, ট্রান্সজেন্ডার, আগ্নেয়াস্ত্র ও ধর্মীয় অধিকারসহ কয়েকটি ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কলোরেডো অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল এ্যাপিলস কোর্ট জজ গরসাচকে এক রক্ষণশীল বুদ্ধিজীবী বলে দেখা হয়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থীর তৃণমূল ভোটারদের কাছ থেকে মাইনরিটি লিডার চাক সুমার তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। আর রিপাবলিকান অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন অর্ধডজন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটরের সামনেও রাজনৈতিক ঝুঁকির দেখা দিয়েছে। তারা আগামী বছর পুনঃনির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং গরসাচকে সমর্থন করার চাপ রোধ করতে পারেন।
×