ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চক্ষু মেলিয়া ॥ নিয়ামত হোসেন

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চক্ষু মেলিয়া ॥ নিয়ামত হোসেন

ওবামা এখন কী পাবেন ওবামা গেলেন, ট্রাম্প এলেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষে যাচ্ছেন আর একজন নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এসব ঘটনা বহু বারই ঘটেছে, তাই যাওয়া-আসার ব্যাপারটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এবার যাওয়া-আসার ব্যাপারটি দুনিয়াবাসীর নজর এবং মনোযোগ অনেক বেশি আকৃষ্ট করছে। যাওয়ার ব্যাপারটি নয়, আসার ব্যাপারটি। যিনি গেলেন তিনি স্বাভাবিকভাবেই গেলেন, কিন্তু যিনি এলেন তিনি স্বাভাবিকভাবে এলেও এসেছেন যেন ঝড় তুলে। খানিক খানিক করে ঝড় তিনি তুলেছেন এই পদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর শুরু থেকেই। সে ঝড়টা দায়িত্ব গ্রহণের পরেও থামেনি তো বটেই, অনেকখানি বেড়েছে বলা যায়। তাই তাকে নিয়ে, তার ঝড় তোলার বিষয়গুলো নিয়ে দুনিয়াব্যাপী চলছে আলোচনা, সমালোচনা, বাদ-প্রতিবাদ। এসব তার নিজের দেশেও কম হচ্ছে না। বরং বলা যায় হচ্ছে প্রবলভাবেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয় সেটি নয়, অর্থাৎ তার আগমন বিষয়ক কিছু নয়। এখানে আলোচ্য বিষয় যিনি গেলেন, অর্থাৎ বারাক ওবামা। ওবামা চলে গেছেন হোয়াইট হাউস ত্যাগ করে। এখন তিনি বেকার। কী করবেন বা কী পাবেন সেটাই এখন অনেকেরই কৌতূহলের বিষয়। জানা যায়, তিনি এখন হয়ে গেলেন পেনশনভোগী। বছরে পেনশন বাবদ পাবেন ২ লাখ ৭ হাজার ৮০০ ডলার। প্রেসিডেন্ট পদে কাজের সময় তিনি যে মাইনে পেতেন এটি তার অর্ধেক, এর সঙ্গে যোগ হবে বাড়তি কিছু খরচ। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৭ মাস পাবেন বিশেষ কিছু সুবিধা। এ ছাড়া সাবেক কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে পাবেন জীবনভর সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা এবং পাবেন ভ্রমণ, অফিস খরচ, যোগাযোগ খরচ ও স্বাস্থ্য সেবাসহ বেশকিছু সুবিধা। উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্টের জন্য সে দেশে পেনশন দেয়ার রীতি চালু হয় ১৯৫৮ সালে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান দায়িত্ব থেকে বিদায় নেয়ার পর পড়েন অর্থকষ্টে। সেই তখন থেকেই পেনশন প্রথা চালু। সেই রীতিই এখন চলছে। তবে পেনশন ও অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হয়। এখন বোঝা যাচ্ছে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট চাকরি করার সময় যেসব আর্থিক সুবিধা পেতেন এখন চাকরি ছাড়ার পর প্রাপ্য পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধায় মোটামুটি দিন যে চলে যাবে তাতে সন্দেহ নেই। ছোট্ট দেশ নাউরু প্রশান্ত মহাসাগরীয় মাইক্রোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জ পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ছোট্ট একটা দ্বীপ। সেটা একটা দেশও বটে। দেশটির নাম নাউরু। অনেকের কাছে পরিচিত প্লিজ্যান্ট আইল্যান্ড নামে। এর আয়তন মাত্র ২১ বর্গকিলোমিটার। এখানে বাস করে হাজার দশেক পরিবার। দেশটির রাজধানী শহর নেই। নেই প্রতিরক্ষার কোন নিজস্ব ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষার জন্য দেশটি নির্ভর করে অস্ট্রেলিয়ার ওপর। এ দেশটিতে বেড়াতে যায় বহু পর্যটক। সেখানকার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করে তার পর ফিরে আসে। এভাবেই চলছে অনেক দিন ধরে। পৃথিবীতে বহু দেশই আছে কোনটা বড়, কোনটা ছোট। সবচেয়ে ছোট্ট আরও দেশ রয়েছে। এদের তালিকায় নাউরুর অবস্থান তিন নম্বরে। তবুও এর নেই প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা। যার দ্বারা রাষ্ট্র বলতে যা বোঝায় তার কাজকর্ম চলতে পারে। তবু চলছে। দেশটি টিকেও আছে বহাল তবিয়তে। এর প্রতিরক্ষা দেখার দায়িত্ব যে দেশটির ওপর সেটাও একটি দ্বীপ, তবে বৃহৎ দ্বীপ। শুধু একটা দেশই নয়, একাই একটা মহাদেশ। দুনিয়াতে অনেক দেশ আছে সে সবের অনেক কিছু রয়েছে, আবার অনেক কিছু নেইও। কিন্তু বিশ্বব্যাপী এক ধরনের মানুষ দেখা যায় যাদের বলা হয় পর্যটক। এরা আগেও ছিল এখনও আছে এবং সংখ্যায় বেড়েছে। আগেও পর্যটকরা হেঁটে খাল-বিল পেরিয়ে নৌকায় করে, এবং পরে সাইকেলে করে দুনিয়ার নানা দেশ বেড়িয়েছেন। এখন যাতায়াতের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে, মানুষের ভ্রমণের আকাক্সক্ষাও বেড়েছে, ভ্রমণ সহজও হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ছুটছে নানা দেশ দেখতে। তারা যাচ্ছে নাউরুতেও যাচ্ছে আফ্রিকা, এশিয়া সব খানে। আমাদের দেশেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত অনেক এলাকা রয়েছে। সেগুলোতে কিছু কিছু পর্যটক আসে বটে, কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। আমাদের আকর্ষণীয় বহু স্থান রয়েছে কিন্তু ব্যাপক পর্যটক আকর্ষণের ব্যবস্থা তেমন নেই। আমাদের এই আকর্ষণ বাড়ানোর সকল চেষ্টা করা দরকার।
×