ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনা

বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা

সংসদ রিপোর্টার ॥ সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, সরকারের এতো উন্নয়ন-সফলতা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সহ্য হয় না। হিংসায় জ্বলেপুড়ে উন্নয়ন-অগ্রগতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিতে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস ও পুড়িয়ে মানুষ হত্যার পর বিএনপি এখন কোথাও নেই। অতীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে খালেদা জিয়া ব্যর্থ হয়েছেন, আগামী নির্বাচনেও ব্যর্থ হবেন। দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে বিএনপি নেত্রীকে আবারও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবেন, উন্নয়ন-অগ্রগতির পক্ষে রায় দেবেন। প্রথমে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, সরকারী দলের এ কে এম রহমতুল্লাহ, সোহরাব হোসেন সানা, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, ন্যাপের আমেনা আহমেদ ও জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নিয়ে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা ও উন্নয়ন খালেদা জিয়ার সহ্য হয় না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার একটি স্বর্ণের খনি। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ওই পরিবারের অভিভাবক। তিনি দেশ স্বাধীন করে জনগণকে উপহার দিয়েছেন। তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুত নিয়ে এরইমধ্যে মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের মানুষের বিদ্যুত সমস্যার সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জনগণ এরইমধ্যে সুফল পেয়েছেন। দেশে বিদ্যুতের সিস্টেম লস ১৬ ভাগ থেকে কমিয়ে ১০ ভাগে নেয়া হয়েছে। হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে আমরা কি পেয়েছি, কি করেছি, সামনে কতদূর যাব তার বিস্তারিত বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। বাংলার মানুষের ভালবাসাকে পুঁজি করে শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করছেন নিরলসভাবে। জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি কঠিন একটি কাজ। বিরোধী দলের রাজনীতি পরিবর্তন হয়েছে। এখন আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করি। তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থা শেষ হয়ে গেছে। তারা আর নেই। কারণ আওয়ামী লীগের এমপিরা সংসদে বিএনপি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের আর কোথাও বিএনপি নেই। বিএনপিতে এখন আছে মাত্র দুজন। একজন মহাসচিব, অপরজন যুগ্ম মহাসচিব রিজভি।
×