ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এক সময় ঢাকা নগরীতেই ছিল ৬৫ খাল

মরতে বসেছে ঢাকা ও আশপাশের প্রায় সব খাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মরতে বসেছে ঢাকা ও আশপাশের প্রায় সব খাল

রাজন ভট্টাচার্য ॥ রাজধানীর মুগদা থানার একটু সামনেই মা-া ব্রিজ। রাস্তার দু’পাশে সরু ড্রেন। আছে কালো বিবর্ণ পানির কমবেশি প্রবাহ। পানির দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে চলছেন পথচারীরা। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, এটি মা-া খাল নামে পরিচিত! সত্যিই বিঘিœত হবার মতো খবর। এক সময় এর পরিধি নাকি অনেক বড় ছিল। যুগের পর যুগ ধরে দখলের প্রতিযোগিতা, ময়লা আবর্জনা স্তূপে খালটি ড্রেনে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এক সময় এ খাল দিয়ে চলত ছোট-বড় নৌযান। পণ্য পরিবহনেও এ খালের গুরুত্ব ছিল বেশ। এখন খালের জমিতে গড়ে উঠেছে অসখ্য স্থাপনা। সবার চোখের সামনে নির্বিচারে খালটি বেহাত হয়েছে। অথচ কেউ বাধা দেয়নি। তাইতো স্থানীয় বাসিন্দাদের দুঃখ, এটিকে আর খাল বলা যায় না। রাজধানীর ড্রেনগুলোও অনেক বড়। এত গেল একটি খালের করুণ গল্প। কেরানীগঞ্জের প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘিরে রয়েছে শুভাঢ্যা খাল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এক সময় কত চঞ্চল ছিল এর গতি। লঞ্চ, ট্রলার, গয়না নৌকা, সাম্পানসহ সব ধরনের নৌযান অবিরাম চলাচল করত এই খাল দিয়ে, যা এখন রূপকথার গল্পের মতো মনে হয়। এখন লঞ্চ তো দূরের কথা, কলার ভেলা চলারও উপায় নেই। শুকনো মৌসুমে খালের বেশিরভাগ অংশ শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। বিভিন্ন মহলের দখলের জবরদস্তিতে যৌবনের শোভা হারিয়ে নর্দমায় পরিণত হয়েছে শুভাঢ্যা। এভাবে চলতে থাকলে খালের গতিপথ যেমন বদলে গেছে একদিন হয়ত খালটিও আর থাকবে না। নিশ্চিহ্ন হয়ে যারে রেখাটুকুও। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দখলবাজরা শুভাঢ্যার বুকের উপর গড়ে তুলেছে অসংখ্য বহুতল আবাসিক ভবন। রয়েছে ইট-পাথরে তৈরি পাকা মার্কেট। টিনের দোকান। এর উৎপত্তিস্থল বুড়িগঙ্গা থেকে ধলেশ্বরী নদী পর্যন্ত সর্বত্র চলছে এ দখলের মহোউৎসব। এ পরিস্থিতিতে শুভাঢ্যার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম শুধু কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যার খালের নয়। রাজধানীর প্রায় সব খালের অবস্থা ঠিক একই রকম। দখলের থাবায় অস্তিত্বহীন হয়েছে অসংখ্য খাল। গতিপথ বদলে গেছে অনেকগুলোর। এখন নামমাত্র রেখা হয়ে টিকে আছে হাতেগোনা কয়েকটি খাল। বদলে দেয়া হয়েছে খালের গতিপথ। খালের জমি নেয়া হয়েছে ব্যক্তি মালিকায়নায়। অর্থাৎ খালের জমি দখলের উৎসব এখনও চলমান। রাজধানীর এই জলধারার স্মৃতিচিহ্ন মুছে দিতে এখন তৎপর ভূমিদস্যুরা। যা যুগ যুগ ধরে চলমান। খালের জমি দখলে কিনা করা হয়েছে। সত্যিই। সবই হয়েছে। যা নিজ চোখে না দেখলে বোঝা কঠিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান অবস্থার উন্নতি না হলে বা জলাশয় রক্ষায় কঠিন পদক্ষেপ না নেয়া হলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে রাজধানীতে আর খালের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। আশার কথা হলো রাজধানীতে দখলে যাওয়া ৪৩টি খাল উচ্ছেদ অভিযানে নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এরমধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে খাল উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। খাল উচ্ছেদের পর সীমানা চিহ্নিত করা হবে। এরপর নির্মাণ করা হবে ওয়াকওয়ে। খালের দু’পাড়ে লাগানো হবে ফুলসহ নানা প্রজাতির গাছ। রাজধানীর ভেতরে থাকা কয়েকটি খালের ওপর রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। একাধিক খাল মুক্ত করে সহজ যোগাযোগের জন্য নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা করার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। গত ২২ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল, বক্স কালভার্ট অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য ঘোষণা দেন। প্রাথমিকভাবে আগামী ৬ এবং ৯ ফেব্রুয়ারি নন্দীপাড়া-ত্রিমোহনী খাল ও হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তা অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। অভিযানে সফলতাও এসেছিল। কিন্তু দখলমুক্ত রাখার ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। তাই সব খাল এখন ফের দখল হয়েছে। অনেক খাল অস্তিত্বশূন্য হচ্ছে। ত্রিমোহিনী খালের বাঁচার চেষ্টা ॥ খালপাড় ঘেঁষে সারি সারি স্থাপনা। কাঁচা-পাকা দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে খালের ওপর। রয়েছে আবাসিক ভবনও। বলতে গেলে ইচ্ছেমতো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে খালের বুকে। ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনীর গুদারাঘাটের এই চিত্রই বলে দেয় কতটা লাগামহীনভাবে চলছে খাল দখলের মহোৎসব। সরকারী জমি দখল করে অবাধে চলছে ব্যবসাবাণিজ্য। পুরো খাল দখলে মরিয়া স্থানীয় ভূমিদস্যুরাও। খালের সংখ্যা কত ॥ রাজধানীর খাল সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসা বলছে, নগরীতে খালের সংখ্যা ২৬টি। অন্যদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালের সংখ্যা ৫০। ঢাকা ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানে (ড্যাপ) ঢাকায় মোট খালের সংখ্যা ৪৩ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াসার হিসাবে ১২টি এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রতিবেদনে ২৪টি খাল আংশিক প্রবাহমান বলা হয়েছে। বাকি খালগুলোর বেশির ভাগ অবৈধ দখলে বিলুপ্ত, কিছু আবার আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে বিলুপ্তির পথে। এ অবস্থায় বিলুপ্তপ্রায় খাল পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠায় সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি তৈরি করা ম্যাপটি অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। ওয়াসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর ২৬টি খাল ঢাকা ওয়াসাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি সংস্কারের কাজ চলছে। জানতে চাইলে সাঈদ খোকন বলেন, রাজধানীর খালগুলো বেদখল হওয়ার কারণে বর্ষার মৌসুমে নগরীতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। প্রভাবশালীরা এসব খাল দখল করে রেখেছে। দখলদার যেই হোক, তাদের উৎখাত করা হবে। হোক না সে রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। তিনি জানান, নগরবাসীর চলাচল নির্বিঘœ করতে হাজারীবাগের সিকদার মেডিক্যাল কলেজ থেকে বাবুবাজার পর্যন্ত বেড়িবাঁধ সড়কের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কাজ শুরু করা হবে। এ কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সার্বিক সহযোগিতা দেবে ডিএসসিসি। এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, নন্দীপাড়া ত্রিমোহনী খালের দখলদার উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে খাল উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে। এটা অব্যাহত থাকবে। আগামী বর্ষায় যাতে নগরীতে জলাবদ্ধতা না হয় সে লক্ষ্যে ত্বরিত গতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খাল দখল করে গড়ে ওঠা সব রাজনৈতিক কার্যালয়, মসজিদ বা ধর্মীয় উপাসনালয় উচ্ছেদ করা হবে। ধর্মীয় উপাসনালয় অপসারণ করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট ধর্মগুরুদের মতামত নেয়া হবে। নগর ভবনে আয়োজিত বৈঠকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, রাজধানীর খালগুলো নানাভাবে দখল হয়ে গেছে। ঢাকা ওয়াসা সরকারী ও দাতা সংস্থায় সহায়তায় এসব খালের টেকসই দখলমুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছে। ডিএসসিসি মেয়রের এ উদ্যোগ খাল দখলমুক্তকরণ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে। তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, রাজধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা একসময় প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত হতো। তখন নগরীতেই ৬৫টি খাল ছিল। বর্তমানে প্রবাহমান খালের সংখ্যা ২৬টি। এর মধ্যে ৭টি খাল পড়েছে ডিএসসিসি এলাকায়। বাকি খালগুলো পড়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। ঢাকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, ধোলাইখাল, নন্দীপাড়া খাল, ত্রিমোহিনী খাল ও ডিএনডি বাঁধ বন্যা নিয়ন্ত্রণ খালে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করলে খালগুলো আবারও পূর্বের ন্যায় সচল হবে। তিনি আরও বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন খালের মালিকানা ব্যক্তির নামেও রেকর্ড হয়ে গেছে। এসব জটিলতাও নিরসন জরুরী হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, রাজধানীতে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ৫০টি খালের অস্তিত্ব ছিল। গত ২৯ বছরে এর ৩৬টির বেশি বিলীন হয়ে গেছে। বাদবাকি ২৬টির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেলেও দখল ও দূষণের হুমকির মধ্যে রয়েছে এসব জলাশয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ওয়াসার পক্ষ থেকে ১২টি খাল প্রবহমান বলা হলেও বর্তমানে ২১টি খাল বর্ষা মৌসুমে প্রবহমান থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে এ খালগুলো সারা বছর প্রবাহমান রাখা সম্ভব। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এসব বিষয়ে উদাসীন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বক্স-কালভার্টগুলো ভেঙে হলেও খাল উদ্ধার করতে হবে। ওয়াসার গাফিলতির কারণে খালগুলো নালায় পরিণত হয়ে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। বাপার পক্ষ থেকে খাল উদ্ধারের একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে সরকারের কাছে দেয়ার পরিকল্পনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই প্রস্তাবনায় ও দেখানো হয়েছে, কত সহজেই রাজধানীর ২৬টি খাল উদ্ধার করে সচল রাখা সম্ভব। আংশিক প্রবাহমান যেসব খাল ॥ ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রস্তুত করা ম্যাপ থেকে দেখা যায়, নলি খাল, দ্বিগুণ খাল, কল্যাণপুর খাল, মেরুল খাল, ডুমনী-কাঁঠালদিয়া খাল, কামরাঙ্গীরচর খাল, বেগুনবাড়ী খাল, মহাখালী খাল, গুলশান খাল, গুলার খাল, নাসিরাবাদ-নিগুর এপাইদ খাল, হাইক্কার খাল, রায়েরবাজার খাল, কালুনগর খাল, রাজাবাজার খাল, ধানম-ি খাল, পরীবাগ খাল, মেরাদিয়া-গজারিয়া খাল, জোয়ারসাহারা খাল, ডুমনী খাল, বাউথার খাল, নাসিরাবাদ-নন্দীপাড়া খাল, দক্ষিণগাঁও-নন্দীপাড়া খাল, আরামবাগ খাল, গোপীবাগ খাল, ধলপুর খাল, ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ী-মাতুয়াইল-মা-া খাল, ডিএনডি বাঁধ বন্যা নিয়ন্ত্রণ খাল, জিয়া সরণি খাল, শ্যামপুর-কদমতলী খাল এবং কদমতলী খাল আংশিক প্রবহমান রয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যেসব খাল আংশিক প্রবাহমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তার অধিকাংশই দৃশ্যত নালায় পরিণত হয়েছে। আবার বাস্তবে কিছু খালের অস্তিত্বও নেই। বিলুপ্তির পথে যেসব খাল ॥ তুরাগ নদ থেকে শুরু হওয়া কোটবাড়ী খালের অধিকাংশ অংশে দুই পাশে ময়লা ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বাকিটুকুর দুই পাশে ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকায় বাইশটেকী খালে প্রবাহ নেই দীর্ঘদিন। ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে ইব্রাহিমপুর খাল। রামচন্দ্রপুর খাল-২ এরই মধ্যে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। সরাই জাফরাবাদ খালের আংশিক প্রবহমান থাকলেও অধিকাংশ অংশ দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। কিছু অংশ ভরাট করে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নন্দীপাড়া-ত্রিমোহনী (জিরানী) খালের একাংশ দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে স্থানীয়রা। খালের মাঝামাঝি স্থানে কালভার্ট তৈরি করে রাস্তার সংযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাঠ-বাঁশ-স্টিল দিয়ে ৩৫টি ব্রিজ ও সাঁকো তৈরি করা হয়েছে, যে কারণে এরই মধ্যে ময়লা-আবর্জনার সস্তূপ তৈরি হয়ে খালটি বিলুপ্তির পথে।
×