ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৮০ শতাংশ পোশাক কারখানা উন্নত কর্মপরিবেশের আওতায় এসেছে

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

৮০ শতাংশ পোশাক কারখানা উন্নত কর্মপরিবেশের আওতায় এসেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের ৮০ শতাংশ পোশাক কারখানা উন্নত কর্মপরিবেশের (কমপ্লায়েন্স) আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। বুধবার বিজিএমইএর সভাকক্ষে ‘বিজিএমইএ-বিইউএফটি জার্নালিজম ফেলোশিপ-২০১৫’ ভ্রমণ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার এ্যান্ড এক্সপোর্টারস এ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ফ্যাশন অব টেকনোলজি (বিইউএফটি) যৌথভাবে ২০১৪ সাল থেকে এ ফেলোশিপ দিচ্ছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান উন্নত কর্মপরিবেশের মাধ্যমে কাজ করেছে। এছাড়া ৬৭টি কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ পেয়েছে। অন্যান্যরা গ্রিন ফ্যাক্টরির জন্য কাজ করছে। কমপ্লায়েন্সের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করছে বিজিএমইএ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমপ্লায়েন্স ছাড়া কোন কারখানাকে বিজিএমইএর সদস্য পদ দেয়া হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, বহির্বিশ্বে নেতিবাচক দিকগুলো বেশি তুলে ধরা হয়। অর্জনগুলো তেমন প্রচার হয় না। শেভরনের সম্পদ কিনতে আরও একধাপ এগিয়েছে সরকার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে থাকা মার্কিন কোম্পানি শেভরনের সম্পদ কিনতে আরও একধাপ এগিয়েছে সরকার। আনুষ্ঠানিক চুক্তির আগে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জ্বালানি মন্ত্রীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে শেভরনের ৩টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, বিবিয়ানা, জালালাবাদ ও মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে ৬০০ বিলিয়ন কিউবিট ফিট গ্যাস উৎপাদন হয়েছে। যা বাংলাদেশের উৎপাদিত মোট গ্যাসের প্রায় অর্ধেক। মার্কিন এ কোম্পানি গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বব্যাপী ১০০০ কোটি ডলারের সম্পদ বিক্রির পরিকল্পনার কথা জানায়। ওই সময় কোম্পানিটি বলেছিল, ২০১৭ সালের মধ্যে এই বিক্রি প্রক্রিয়া শেষ হবে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কোম্পানিটি বাংলাদেশে থাকা ৩টি গ্যাসক্ষেত্র বিক্রির কথা জানায়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, শেভরনের পক্ষ থেকে এই সম্পদের দাম হাঁকা হয়েছে ২০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। সফটওয়্যার রফতানিতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দাবি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানিতে সরকারের কাছে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া বেসিস সফট এক্সপো-২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সাত শ’ মিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার রফতানি হচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে তা এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। বর্তমানে এ খাতে সাত লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিস (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বার।
×