ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানকে ভারত

জঙ্গীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য দমন অভিযান চাই

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জঙ্গীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য দমন অভিযান চাই

পাকিস্তান জামাত-উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সাঈদকে আটকের পর ভারত মঙ্গলবার জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোর ওপর বিশ্বাসযোগ্য দমন অভিযান চালাতে পাকিস্তানের প্রতি দাবি জানিয়েছে। খবর এএফপির। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাফিজ সাঈদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে নেয়া সোমবারের আদেশের মতো ব্যবস্থা অতীতেও পাকিস্তান নিয়েছিল। সোমবার রাতে সাঈদকে নিবর্তনমূলক আটকাদেশের আওতায় গৃহবন্দী করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, শুধু মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে জড়িত সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে এক বিশ্বাসযোগ্য দমন অভিযানেই কেবল পাকিস্তানের আন্তরিকতার প্রমাণ হবে। বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা সাঈদকে এক অভিযানের মাধ্যমে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে এখন একটি ভবনে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। তার সঙ্গে আরও চার জামাত-উদ দাওয়া অনুসারীকে একই অভিযানে আটক করা হয়। ভারত জানিয়েছে, জামাত-উদ দাওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) একটি ফ্রন্ট। এটি ২০০৮ সালের নবেম্বরে ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাইয়ে হামলা চালায়। এতে এক শ’ ৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। হামলার পরপরই ইসলামাবাদ সাঈদকে আটক করে। তবে পরে তিনি আদালতের নির্দেশে মুক্তি পান। এদিকে এক ভিডিও বার্তায় হাফিজ সাঈদ দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধুত্বের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। ভিডিওটি সোমবার প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে সাঈদ বলেন, মোদির উস্কানি, ট্রাম্পের চাপ আর পাকিস্তানের অসহায়তার কারণে তাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। সাঈদকে আটকের প্রতিবাদে অধিবেশন বর্জন ॥ এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলের সদস্যরা জামাত-উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সাঈদকে আটকের প্রতিবাদে অধিবেশন থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউট করেছেন। তারা বলেছেন, সরকার ভারতের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে হাফিজ সাঈদকে আটক করেছে। ২০০৮ সালে মুম্বাই নগরীতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জন্য হাফিজ সাঈদকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করেছে ভারত। তাকে সোমবার রাতে গৃহবন্দী করা হয়। এর বিরুদ্ধে তার সমর্থকরা কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ করেছেন। সাঈদ প্রথম থেকেই মুম্বাই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র তার মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ লাখ ডলার। মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে বিরোধীদলগুলোর সদস্যরা তার সমর্থনে এবং আটকের প্রতিবাদে এক মিনেটের জন্য অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন। প্রাদেশিক পরিষদের স্পীকার রানা মুহাম্মাদ ইকবালকে উদ্দেশ্য করে বিরোধীদলীয় নেতা এবং তেহরিকে ইনসাফ দলের সদস্য মেহমুদুর রশীদ এ সময় প্রশ্ন তোলেন- কেন সাঈদকে আটক করা হয়েছে।
×