ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা চারদিনের দরপতন শেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। মঙ্গলবার উভয় পুঁজিবাজারে সব ধরনের সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচক বাড়লেও লেনদেনে গতি ফেরেনি। দুই বাজারেই লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভীতি কাটিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি থেকে বিরত থাকায় মঙ্গলবার সূচক বেড়েছে। দীর্ঘদিন মন্দাবস্থার পর সম্প্রতি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার পরম মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নরের মন্তব্য দরপতনে নতুন মাত্রা যোগ করে। কিন্তু এ অবস্থায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বিএমবিএ গবর্নরের মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে মন্তব্য করেছে, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তা নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশা সঞ্চার করেছে। সরকার ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তাতে সূচক ওই পর্যন্ত না গেলেও তার কাছাকাছি যাবে এটা নিশ্চিত। বিশ্লেষকদের আরও বিশ্বাস, গত কয়েক মাস ধরে নানা মহলের প্রাণান্ত চেষ্টার ফলে এবং ব্যাংক আমানতকারীরা নতুন করে পুঁজিবাজারে প্রবেশ করায় বাজারে যে গতি সঞ্চারিত হয়েছিল মঙ্গলবার থেকে আবার সেটির যাতা শুরু হলো। এটি ২০১৭ এবং ১৮ সালের পুরো সময় জুড়েই চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা কম। সোমবার ডিএসইতে এক হাজার ৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৫টির, কমেছে ১২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির শেয়ার দর। এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬৮ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো, আরএসআরএম স্টিল, ডরিন পাওয়ার, অলিম্পিক ইন্ড্রাস্টিজ, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাইফ পাওয়ার, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, বারাকা পাওয়ার ও ইফাদ অটোস। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ড্রাগন সোয়েটার, পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, মোজাফফর হোসেন, সালভো কেমিক্যাল, ইসলামিক ফাইন্যান্স, ইসলামী ব্যাংক, তুং হাই নিটিং, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৩টির, কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
×