ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত-ইংল্যান্ড টি২০ ॥ বুমরাহর দুরন্ত ওভারের রহস্য, ব্যাঙ্গালুরুতে বুধবার সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচ

ভারতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নাখোশ মরগান

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭

ভারতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নাখোশ মরগান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৪১ রান। হাতে ৭ উইকেট। ৪ ওভার আগে সমীকরণ ২৪ বলে ৩২, শেষ ওভারে ৮। হাতে ৬ উইকেট। এমন ম্যাচেও ইংলিশরা হারবে, সেটি বোধহয় প্রতিপক্ষ ভারতও ভাবেনি। কিন্তু সেটাই হয়েছে। জাসপ্রিত বুমরাহর শেষ ওভার থেকে ইয়ন মরগানের দল মাত্র ৩ রান তুলতে পারে। নাগপুরে ৫ রানের নাটকীয় জয়ে তিন ম্যাচের টি২০তে ১-১এ সমতায় ফেরে বিরাট কোহলির ভারত। স্পিনিং কন্ডিশনে ডেথ ওভারে একজন তরুণ পেসারের পক্ষে এমন বোলিং কি করে সম্ভব? বাতাসে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। সিনিয়র পার্টনার আশীষ নেহরার পরামর্শেই নাকি বুমরাহর এই সাফল্য। ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন নেহরা। রুদ্ধশ্বাস দিনে তিনি নিজে নিয়েছেন ৩ উইকেট, বুমরাহ ২। আর দুই পেসারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক কোহলি। অন্যদিকে তীরে এসে তরী ডোবার পর বাজে আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ এনেছেন সফরকারী সেনাপতি ইয়ন মরগান। নেহরা বলেন, ‘ওই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চাপ ছিল। আমি ওর ওপর থেকে সেই চাপটা কমাতে চেয়েছিলাম। বুমরাহ এর আগেও অনেক ম্যাচে শেষ ওভারে বল করেছে। ওকে বললাম খুব বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন নেই। বললাম, তোর ইয়র্কারটা ভাল, ওটাই দেয়ার চেষ্টা কর। লোয়ার-ফুলটস হলেও এই মাঠে ছক্কা মারতে পারবে না। মাথা ঠা-া রেখে ও দারুণ সেই কাজটা করেছে। সে আসলে দারুণ প্রতিভাবান এক পেসার। শেষ চার ওভারেও বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা আমরাই জিতব।’ আর মাত্র ২০ রান দিয়ে জস বাটলার ও জো রুটকে সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে নেয়া বুমরাহ বলেন, ‘ডেথ ওভারে বোলিং করা সবসময়ই কঠিন। অতীতেও আমি এই পরিস্থিতিতে বল করেছি। ব্যাক অফ লেন্থ ও সেøায়ার ডেলিভারি দেয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে ওরা তুলে মারতে না পারে। চার-ছক্কা না হয়।’ বুড়ো নেহরা ও তরুণ বুমরাহর প্রশংসা করে ক্যাপ্টেন কোহলি বলেন, ‘নিজেদের ওপর বিশ্বাসটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। মাঝে স্পিনাররা ভাল করেছে। শেষদিকে নেহরা ও বুমরাহর বোলিং এক কথায় অসাধারণ।’ শেষ ওভারের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বুমরাহর বলে রুটকে এলবিডব্লিউ দেন ভারতীয় আম্পায়ার। যা নিয়ে ঘোরতর আপত্তি ইংলিশদের। তৃতীয় ম্যাচের আগেই এ বিষয়ে ম্যাচ রেফারির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিাযোগ জানান হবে। অধিনায়ক মরগানের কণ্ঠে হতাশা স্পষ্ট, ‘সিদ্ধান্তটি আমাদের যারপরনাই হতাশ করেছে। এটি ২০তম ওভারে পুরোপুরি ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। এমন কঠিন উইকেট যেখানে ঠিকমতো টাইমিং করা কঠিন, সেখানে ৪০ বল খেলে ফেলেছে এমন একজন ব্যাটসম্যানকে হারানো বড় ধাক্কা হয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত যেটার চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। তবে এরপরও আমাদের জেতা উচিত ছিল।’ অবশ্য ম্যাচে প্রতিপক্ষের স্পিরিটের প্রশংসা করেছেন তিনি। অতিথি অধিনায়ক বলেন, ‘সত্যি বলতে ব্যাট হাতে আমরা কেবল শেষ ওভারটাতেই খারাপ করেছি। অন্যভাবে দেখলে বুমরাহ অসাধারণ বল করেছে। রুট-স্টোকস দারুণ ব্যাট করছিল। এভাবে হেরে যাওয়াটা বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে ব্যাঙ্গালুরুতে আমাদের সিরিজ জেতার সুযোগ রয়েছে।’
×