ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনুমতি ছাড়াই স্কুলের গাছ হজম

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭

অনুমতি ছাড়াই স্কুলের গাছ হজম

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ অনুমতি না নিয়েই পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কাছিয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৮টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে এ গাছ কাটা হয়। গাছগুলো স্কুল কম্পাউন্ডের ভেতরে পুকুরপাড়ে বহু বছর আগে লাগানো হয়েছিল। গাছগুলো পরিপক্ব হওয়ায় তা বেশ দামী হয়ে উঠেছিল। আত্মসাতের উদ্দেশে গাছগুলো কাটা হলেও এখন ভোল পাল্টে বলা হচ্ছে শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করা হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সপ্তাহখানেক আগে গাছগুলো কাটা হয়। কাটাগাছের মধ্যে ১৬টি মেহগনি এবং ২টি চাম্বল গাছ। পুকুরপাড়ে এখনও গাছের গোড়া পড়ে আছে। কাটা গাছ কাছিয়াবুনিয়া বাজার সংলগ্ন করাতকলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, অনুমতি না নিয়েই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনজুরুল আলমের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়। করাতকল মালিক মজিবর জোমাদ্দার জানান, স্কুলের হেড মাস্টার নিজেই গাছগুলো মিলে রেখে গেছেন। এগুলো কেটে ফার্নিচার বানানো হবে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনজুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের কক্ষ সঙ্কট থাকায় কারিতাসের ছাদে নতুন দুইটি কক্ষ নির্মাণের জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পিটিআই কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। তবে ইউএনওর অনুমতি নেয়া হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ ছাড়াও প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়। স্কুলের কোন পরিচালনা পর্যদ নেই। তাই প্রশাসনের কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) এবিএম সাদিকুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তারপরেও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
×