ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতীয় তিন টিভি চ্যানেল বন্ধ হচ্ছে না- রিট খারিজ

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭

ভারতীয় তিন টিভি  চ্যানেল বন্ধ হচ্ছে না- রিট খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে জনপ্রিয় ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস এবং জি বাংলা বন্ধে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে বন্ধ হচ্ছে না এই তিনটি চ্যানেল। এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ রবিবার এই রায় দেন। আদালতে স্টার জলসা ও স্টার প্লাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু। জি বাংলার পক্ষে ব্যারিস্টার শামসুল হাসান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে বাস্তবতা নিয়ে চোখ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তবে এমন কোন অনুষ্ঠান দেখান ঠিক নয় যা আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ব্যাহত করে। এক্ষেত্রে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী একটি কমিটি করার বিধান রয়েছে। যেই কমিটির দায়িত্ব টেলিভিশন অনুষ্ঠানসমূহ মনিটরিং করা। আদালত আরও বলেছেন, কোন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ফলে যদি ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন বা সংক্ষুব্ধ হন, তবে তাকে সরকারের কাছে অভিযোগ করতে হবে। আইন অনুযায়ী এ সংক্রান্ত অভিযোগ সরকারকে সাতদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হয়। কিন্তু রিটকারী সে ধরনের কোন আবেদন করেননি। আদালত বলেন, এই রিটের কোন মেরিট (গুণাগুণ) আমরা খুঁজে পাইনি। তাই এই রিট খারিজ করা হলো। আদালতের রায় ঘোষণার পরে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায়ের ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় ওই তিন টিভির সম্প্রচারে আর কোন আইনী বাধা নেই।’ অন্যদিকে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করব। আশাকরি ন্যায়বিচার পাব।’ ২০১৪ সালের জুলাই মাসে রোজার ঈদের আগে স্টার জলসার বাংলা সিরিয়াল ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে বাজারে আসা পোশাক কিনতে না পেরে কয়েকজনের আত্মহত্যার খবর আসে পত্রিকায়। এরপর ৭ আগস্ট সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর রুল জারি করেন বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের বেঞ্চ। ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। গত ৮, ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওই রুলের ওপর শুনানি শেষে এই রায় দিল হাইকোর্ট।
×