ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিমের ‘ভালবাসা এমনি হয়’

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭

মিমের  ‘ভালবাসা  এমনি হয়’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল তানিয়া আহমেদ পরিচালিত এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড প্রযোজিত ‘ভালবাসা এমনই হয়’ চলচ্চিত্রটি গত শুক্রবার সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে। রোমান্টিক গল্প নির্ভর এ চলচ্চিত্রের ট্রেলার, গান এবং পোস্টার প্রকাশ হওয়ার পরই দর্শকদের হৃদয় জয় করেছে। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড, শ্যামলী সিনেপ্লেক্স, মধুমিতা, শাহীন হলসহ দেশজুড়ে ৬০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। লন্ডনে চিত্রায়িত ও নির্মিত এ চলচ্চিত্রের প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন লাক্সতারকাখ্যাত অভিনেত্রী ও মডেল বিদ্যা সিনহা মীম। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন রিয়েলিটি শো ফেয়ার এ্যান্ড হ্যান্ডসাম-হ্যান্ডসাম দ্য আল্টিমেট ম্যান বিজয়ী ইরফান সাজ্জাদ। আরও আছেন মীর সাব্বির, তানজিকা আমিন, মিশু সাব্বির, রবার্ট ইয়ং, সোহেল খান, তারিক আনাম খান প্রমুখ। চলচ্চিত্রের কাহিনী ও সংলাপ রায়হান খান। চিত্রগ্রহণ রায়হান খান ও হাবিবুল মঞ্জির। গান লিখেছেন গীতিকার এসআই টুটুল, লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাহিদ আকবর, ফারুক হোসেন ও সুুদ্বীপ। আবহ সঙ্গীত এসআই টুটুল। সঙ্গীত পরিচালনা ও কম্পোজিশন এসআই টুটুল, হাবিব ওয়াহিদ এবং জে কে। কণ্ঠ দিয়েছেন এসআই টুটুল, কনা, জে কে, মমো ও নওমি। সম্পাদনা এমএইচ সোহেল। সাউন্ড মাস্টারিং আজম বাবু। নৃত্য পরিচালনায় তানিয়া আহমেদ, মীম ও মেহরাজ হক তুষার। চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে ইমতিয়াজ ঐশির চাচা, যিনি ঐশির ৩ মাস বয়সে ঐশির বাবা-মাকে হত্যা করে ঐশিদের ধনসম্পদের লোভে। ঐশি ইমতিয়াজকেই তার বাবা বলে জানে। ইমতিয়াজ সাহেব একজন বড় ব্যবসায়ী। ঐশির যখন ৬ মাস বয়স তখন ইমতিয়াজ সাহেব ব্যবসার প্রয়োজনে লন্ডন চলে যায় এবং সেখানেই সেটেল্টড হয়। সঙ্গে ঐশিকেও নিয়ে যায়। ঐশি লন্ডনেই বড় হয়। সাজ্জাদ চাকরির সন্ধানে লন্ডন যায় এবং সেখানেই চাকরি করে। লন্ডনে ঐশির সঙ্গে সাজ্জাদের পরিচয় হয় এবং প্রেম হয়, অতঃপর বিয়ে করে তারা দুজন। বিয়ের কিছুদিন পর ঐশি একটা রোড এ্যাক্সিডেন্টে মারাত্মক আঘাত পায়। হাসপাতালে যখন জ্ঞান ফেরে তখন ঐশি পুরনো স্মৃতি সব ভুলে যায়, আগের কোনকিছুই আর মনে পড়ে না। এমনকি তার স্বামী সাজ্জাদের কথাও না। এদিকে ইমতিয়াজ সাজ্জাদকে মেনে নেয় না। সাজ্জাদকে হুমকি দেয়, যদি সে ঐশিকে পেতে চায় তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। সাজ্জাদ ঐশিকে ফিরে পেতে নানান ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু যখন সে ব্যর্থ হয় তখন সে বুঝতে পারে যে, একা ইমতিয়াজের সঙ্গে লড়াই করে সে ঐশিকে পাবে না। তাই সে সঙ্গী খুঁজতে থাকে, যাদের সঙ্গে নিয়ে সে লড়াই করে ঐশিকে ফিরিয়ে আনতে পারবে। তখন পরিচয় হয় মাহতাব ও মিশু নামের দুই যুবকের সঙ্গে, যারা বাংলাদেশী এবং তারা বাংলাদেশ পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। মাহতাব ও মিশু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে থাকা মিথিলা নামের একজনকে খুঁজে বের করে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে লন্ডন যায়। মিথিলা বাংলাদেশী মেয়ে, যে একজন নামকরা র‌্যাম্প মডেল। এক অনুষ্ঠানে আমজাদ নামের এক মধ্যবয়সী লোক যিনি বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তিনি মিথিলাকে দেখে পছন্দ করে খারাপ প্রস্তাব করেন টাকার বিনিময়ে। মিথিলা কিছুতেই রাজি হয় না। আমজাদ যখন দেখে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না তখন তিনি অন্য কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি মিথিলার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মিথিলার বাবা রাজি হন না এবং আমজাদকে একটা চড় মারেন। আমজাদ এর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে মিথিলার বাবা-মাকে হত্যা করেন। মিথিলা আমজাদের বিরুদ্ধ মামলা করেন কিন্তু আমজাদের হাত অনেক বড় তাই আমজাদকে মিথিলা কিছুই করতে পারেন না। এদিকে আমাজাদ মিথিলাকে পাওয়ার জন্য আরও পাগল হয়ে ওঠে। মিথিলা যখন বুঝতে পারে তখন সে পালিয়ে বেড়ায়। এক সময় লন্ডন থেকে একটা অনুষ্ঠানে র‌্যাম্প করার সুযোগ হয় মিথিলার এবং সে লন্ডন যায়। লন্ডনে অনুষ্ঠান শেষ করে সে আর ফিরে আসে না এবং লন্ডনেই পরিচয় হয় ইমতিয়াজের সঙ্গে। ইমতিয়াজ মিথিলাকে বিয়ে করে। এই মিথিলাকে হত্যা করার জন্যই আমজাদ লন্ডন পাঠায় মাহতাব এবং মিশুকে। ঘটনাক্রমে সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয় হয় মাহতাব এবং মিশুর। এক সময় সাজ্জাদ মাহতাব এবং মিশুকে সব খুলে বলে এবং তারা একত্রে ঐশিকে উদ্ধার করার জন্য কাজ করে।
×