ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবদুল মান্নান

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ইস্টার্ন কমান্ড ফোর্ট উইলিয়াম

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ইস্টার্ন কমান্ড ফোর্ট উইলিয়াম

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ দিন ১৬ ডিসেম্বর। সেদিন বিকেল ৪:৩১ মিনিটে রেসকোর্স ময়দানে ৯১ হাজার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্য লেঃ জেনারেল এ এ কে নিয়াজির নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর প্রধান ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ লেঃ জেনারেল জে এস অরোরা এভিএসএমের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেন। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস এ্যাডমিরাল এন কৃষ্ণাণ পিভিএসএম, এয়ার মার্শাল এইচ সি দেওয়ান পিভিএসএম, লেঃ জেনারেল সগত সিংহ পিভিএসএম, মেজর জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব, ফ্লাইট লেঃ এম এস সিহোটা, গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস কে মেহরা, ব্রিগেডিয়ার সান্ত সিংহ এমভিসি, ক্যাপ্টেন ওবেরয়, শ্রী সুরজিৎ সেন এবং বাংলাদেশের গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে খন্দকার। যৌথ কমান্ডের বিজয়ী ইস্টার্ন কমান্ড হেড কোয়ার্টার্স ফোর্ট উইলিয়াম সেই গৌরবের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর আমাদের বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সামরিক শিষ্টাচারে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করে থাকে। বিগত ২০০৬ থেকে প্রতি বছর ত্রিশ জন মুক্তিযোদ্ধা, ছয় জন কর্মরত সামরিক অফিসার এবং তাদের সঙ্গী ইস্টার্ন কমান্ডের অতিথির মর্যাদায় কলকাতায় অবস্থানের সুযোগ দিয়ে ভারত সরকার সেদিনের সেই বিজয় দিবসকে আরও মহিমান্বিত করছে। এ জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সরকার এবং ইস্টার্ন কমান্ডকে গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ইস্টার্ন কমান্ড ফোর্ট উইলিয়াম ছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক দল এবং আমাদের কলকাতা উপরাষ্ট্রদূতের দফতর স্বতন্ত্রভাবে বিজয় দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ কারণে আমরা ভারতের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের হেড কোয়ার্টার্স ফোর্ট উইলিয়াম। ফোর্ট উইলিয়ামের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য কল্লোলিনী কলকাতা-সূতানুটি, গোবিন্দপুর এবং কলকাতার সমন্বয়ে কলকাতা মহানগরী এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একসূত্রে গাঁথা। এক কালের সূর্য অস্ত না যাওয়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অহঙ্কারের বিশাল স্থাপত্য ফোর্ট উইলিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৬৯৬ খ্রিঃ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্রোতস্বিনী হুগলি নদীর পূর্বপাড়ে ৭০.৯ একর জমির ওপর। ইংল্যান্ড আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের রাজা ৩য় উইলিয়ামের নামানুসারে ১৭০০ খ্রিঃ এই দুর্গের নামকরণ করা হয় ফোর্ট উইলিয়াম। এই সময় ফোর্ট উইলিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রায় দশ বছর লেগেছিল। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিল্লীর সম্রাটের কিঞ্চিত শিথিলতায় সমৃদ্ধিশালী বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করায় বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৬ ফোর্ট উইলিয়ামে সামরিক অভিযান চালিয়ে ফোর্ট দখল করে এর নাম বদলিয়ে তাঁর নানা বাংলা বিহার উড়িষ্যার সাবেক নবাব আলিবর্দী খাঁর নামানুসারে ‘আলিনগর’ নামকরণ করেন। কলকাতার এই ফোর্ট উইলিয়াম বা আলিনগরের গার্ডরুমই ইষধপশ ঐড়ষব ড়ভ ঈধষপঁঃঃধ বা কলকাতার অন্ধকূপ হিসেবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ইতিহাস বিকৃত করে প্রজাবৎসল নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে কলঙ্কিত করতে সচেষ্ট হয়। ১৭৫৭ পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা তাঁর প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলি খানের বিশ্বাসঘাতকতায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রবার্ট ক্লাইভের কাছে নিদারুণভাবে পরাজয়ের পর পক্ষান্তরে এই দেশের শাসনসহ ব্যবসাবাণিজ্য সব কিছুই চলে যায় রবার্ট ক্লাইভের হাতে। রবার্ট ক্লাইভ স্বল্পসংখ্যক সৈন্য এবং গোলাবারুদ দিয়ে নবাবের প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলি খানের বিশ্বাসঘাতকতায় পলাশীর যুদ্ধ জয়লাভ করলেও সৈন্য সংগ্রহ এবং কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের পুনঃনির্মাণে মনোযোগী হয় যুদ্ধ জয়ের পরের বছর ১৭৫৮ থেকে। প্রায় তেইশ বছর লেগেছিল এই নির্মাণ কাজ শেষ করতে। আর এই সময় এতে ব্যয় হয়েছিল দুই মিলিয়ন পাউন্ডের অধিক। আটকোনা আকারে চুনসুরকি দ্বারা নির্মিত এই বিশাল স্থাপনা নয় মিটার গভীর পনেরো মিটার চওড়া পরিখা দ্বারা বেষ্টিত। পাঁচ স্কয়ার কিলোমিটার বেষ্টিত অনুচ্চ দালানের ফোর্ট উইলিয়ামের তিন দিক বেষ্টিত স্রোতস্বিনী হুগলি নদী। অন্যদিকে ব্রিটিশ নাগরিকদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত প্রখ্যাত সেন্ট পিটার্স চার্চ (ঝঃ. চবঃবৎং ঈযঁৎপয) যা বর্তমানে ইস্টার্ন কমান্ড হেড কোয়ার্টার্সের লাইব্রেরীতে পরিণত হয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ড হেড কোয়ার্টার্স ফোর্ট উইলিয়ামে দশ হাজার আর্মি পার্সনেলের আবাসিক সুবিধাসহ। একাধিক সুইমিং পুল, শপিংমল, সিনেমা হল, লন্ড্রি, রেস্টুরেন্ট, খেলার মাঠ, নয় হোল বিশিষ্ট গলফ কোর্স, পোস্ট অফিস ইত্যাদি ও রয়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইস্টার্ন কমান্ড ফোর্ট উইলিয়ামের খ্যাতি ভারতের সীমা অতিক্রম করে বিশ্বের অন্যান্য গ্যারিসনের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। এই পরিচিতির ক্ষেত্র ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং স্বাধীন ভারতের অন্যতম দুর্গের মর্যাদা বহন করে চলেছে। এই বিশাল স্থাপনা ফোর্ট উইলিয়ামের ছয়টি গেট বা সিংহ দরজা রয়েছে- এগুলো হলো চৌরঙ্গি গেট (ঈযড়ৎিধহমযবব এধঃব), পলাশী গেট (চষধংংবু এধঃব), ক্যালকাটা গেট (ঈঁষপঁঃঃধ এধঃব), ওয়াটার গেট (ডধঃবৎ এধঃব), সেন্ট জর্জ গেট (ঝঃ. এবড়ৎমব এধঃব) এবং ট্রেজারি গেট (ঞৎবধংঁৎু এধঃব)। ১৮৯৫ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি আর্মির বিলুপ্তির ভেতর দিয়ে ইস্টার্ন কমান্ড প্রতিষ্ঠা এবং সম্প্রসারিত হতে থাকে। ০১ জানুয়ারি ১৯৩৯ থেকে মিরাট, লক্ষেèৗ, বেঙ্গল, আসাম, দিল্লী সামরিক জেলাসমূহ ইস্টার্ন কমান্ডে অধিভুক্ত হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের শতাব্দী প্রাচীন সমৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যময় ইতিহাসের বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ প্রতীক বা লোগো হচ্ছে ‘উদীয়মান সূর্য’। স্বাধীনতার পূর্বাপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিকাশের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই কমান্ড রাঁচিতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কলকাতায় স্থানান্তরের আগে লক্ষেèৗতেও স্থানান্তরিত হয়েছিল। বহুল আলোচিত বর্মায় (বর্তমান মিয়ানমার) সামরিক অভিযান, তারপর উল্লেযোগ্য ১৯৬২ চীন-ভারত যুদ্ধ। ১৯৭১-এ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইস্টার্ন কমান্ডের সরাসারি অংশগ্রহণ সবচেয়ে উল্লেযোগ্য সাফল্য। বীরত্ব আর গৌরবের ইতিহাস স্বীকৃত ইস্টার্ন কমান্ড রাষ্ট্রীয় সম্মানসহ ভারতের আপামর জনগণের কাছে সম্মানে আসীন হয়েছে দেশরক্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং স্বাধীন ভারতের ধারাবাহিকতায় এই কমান্ডের গৌরব। ইস্টার্ন কমান্ডের স্বল্পকালীন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ জেনারেল কে এম কারিআপ্পা ওবিই যিনি ১৫ জানুয়ারি ১৯৪৯ স্বাধীন ভারতের প্রথম কমান্ডার-ইন-চীফ মর্যাদায় আসীন হয়েছিলেন এবং পরে তিনি সর্বপ্রথম ফিল্ড মার্শাল পদ অলঙ্কৃত করেন। আরও একজন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ অর্থাৎ ইস্টার্ন কমান্ডের দুজন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ গৌরবময় ফিল্ড মার্শাল মর্যাদায় উন্নীত হয়েছিলেন। ভারতে সেনাবাহিনীর চীফ অব-দ্য-আর্মি স্টাফ পদ অলঙ্কৃত করেন এই কমান্ডের সাত জন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চীফ। যা এ পর্যন্ত আর কোন কমান্ড এই গৌরবের অধিকারী হতে পারেনি। ভারত এবং ভারতের সামরিক ইতিহাসে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সর্বশ্রেষ্ঠ গৌরবোজ্জ্বল অর্জন। এই মহাসমরে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় নয় হাজার বীরযোদ্ধা শহীদ হয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাকে গৌরবান্বিত করে আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছেন। তাই আমাদের বিজয় ভারতের ইস্টার্ন কমান্ড প্রতিবছর সামরিক রীতিতে যথারীতি পালন করে থাকে। এই সামরিক অনুষ্ঠানে ভারতের বীর সৈনিক যাঁরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, বর্তমান অবসর জীবন যাপন করছেনÑ তাঁরাও আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত হোন। মুক্তিবাহিনী আর ভারতের প্রায় নয় হাজার নিয়মিত শহীদ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতায় আরও একটি নাম উচ্চারণ করতে হয় সেটা হলো রাশিয়া। আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি স্বাধীনতার জন্য ভারতের আগ্রহে জাতিসংঘে তিনবার ভেটো শুধু প্রদান করেননি, আমাদের স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সমুদ্র মাইন মুক্ত করতে গিয়ে রাশিয়ান মেরিন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। সেই রাশিয়ান বীর শহীদ মেরিন সৈনিকের সমাধি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বীচে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভেটার্ন সেনা সদস্যদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে চলেছে ভারত সরকার। এ বছর অর্থাৎ ২০১৬ ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের ডিফেন্স উইংয়ের সৌজন্যে ত্রিশ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ছয় জন কর্মরত সামরিক কর্মকর্তা এবং তাঁদের সঙ্গী ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন-চীফ লেঃ জেনারেল প্রবীণ বকশি এভিএসএম, ডিএমএস, এভিসি’র আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর ১৯৭১-এ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ। ভারত ন্যায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ করে নিকট প্রতিবেশীর ন্যায্য দাবি সমর্থন করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ৯১ হাজার নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সদস্য যৌথবাহিনীর প্রধান ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডার-ইন-চীফ লেঃ জেনারেল এস জে অরোরার কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ আধুনিক পৃথিবীতে যুদ্ধের ইতিহাসে এত অধিক সংখ্যক সৈনিকের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের নজির নেই। ভারতের অবিসংবাদিত নেতা ভারতরতœ শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী যিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং প-িত জওহর লাল নেহরুর যোগ্যকন্যা এবং নিখিল ভারত কংগ্রেসের সভাপতি স্বাধীনতা সংগ্রামী প-িত মতিলাল নেহরুর পৌত্রি স্টেটসম্যান হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি তাঁর বৈশ্বিক রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ভারতের আধুনিক সেনাবাহিনীর রণকৌশল এবং বীর সৈনিকদের অপরিসীম তেজস্বীতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ করেছে। ফলে ভারতের সেনাবাহিনী পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাবাহিনীর মর্যাদা লাভ করেছেÑ ভারতের সফল কূটনীতি বিশ্বনন্দিত হয়েছে। আমরা ত্রিশ লাখ শহীদ দু’লাখ মা-বোনের ইজ্জত আর গুটিকয়েক পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসরের বিরোধিতা ছাড়া বাংলার আপামর জনগণের ত্যাগ এবং বিশ্বের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন জনগণ এবং রাষ্ট্রের সমর্থনে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করেছি। লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য
×