ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘বিমান’ নিয়ে আর বিভ্রান্ত নয়

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

‘বিমান’ নিয়ে আর বিভ্রান্ত নয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘বিমান’ শব্দটি অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা যাবে কি যাবে নাÑ এটা বুঝতে পঁয়তাল্লিশ বছর সময় লেগেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। তবে বিলম্বে হলেও শনিবার এ সংক্রান্ত জনসংযোগ শাখা প্রেরিত একটি বার্তায় বলা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং একমাত্র জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স। এই প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ৪৫ বছর পূর্ণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’ হলেও সংক্ষেপে শুধু ‘বিমান’ নামেও সুপরিচিত। দেশে-বিদেশে বিমান বলতে জাতীয় এয়ারলাইন্স বিমানকেই শুধু বোঝায়। অন্যান্য এয়ারলাইন্স, এয়ারপোর্টে কর্মরত অন্যান্য সংস্থা সিভিল এভিয়েশন অথরিটিগুলোও ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’কে সংক্ষেপে ‘বিমান’ নামেই চেনে। শুধু এভিয়েশন খাত নয়, সাধারণ মানুষ, যাত্রীসহ অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষও ‘বিমান’ বলতে বোঝেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যায়, প্রায়শই দেশের কিছু বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকাসহ অন্যান্য পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন উড়োজাহাজ, আকাশযান, উড়োযান বোঝাতে ‘বিমান’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। এয়ারক্রাফট বা এ্যারোপ্লেন-বাংলায় ‘বিমান’ না লিখে উড়োজাহাজ, আকাশযান বা এয়ারক্রাফট শব্দ দিয়েও বোঝানো সম্ভব। একটি সঠিক শব্দ সঠিক জায়গায় ব্যবহার না হলে সাধারণ মানুষসহ সকলেই বিভ্রান্ত হয়। বিভিন্ন সময়ে দেশী-বিদেশী এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনা, ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়া, লাগেজ হারানো অথবা উড়োজাহাজ হতে স্বর্ণ বা অবৈধ পণ্য উদ্ধার হলে নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের নাম বা উড়োজাহাজ শব্দটি ব্যবহার না করে ‘বিমান’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। এমনকি শিরোনামেও জোরালোভাবে ‘বিমান’ শব্দটি লেখা হয়, অথচ ভিতরের তথ্য অন্য এয়ারলাইন্স সংক্রান্ত। এতে করে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে জাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সকলের প্রতি সহযোগিতা কামনা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়Ñ বিমান আজ সমৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে। নতুন প্রজন্মের নতুন নতুন উড়োজাহাজ আজ বিমান বহরে সংযোজিত।
×