ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ৩.৫৮ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ৩.৫৮ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্যসূচকের বৃদ্ধি থাকলেও কমেছে লেনদেন। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমার পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গত সপ্তাহে ৮ হাজার ৬৫৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার। সেই হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৩২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৩.৫৮ শতাংশ। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দশমিক ৯৫ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে সূচকের ওঠানামার পর ডিএসইর প্রধান সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বা ৮৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ৫৪ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ১৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫০টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। ডিএসই খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে ব্যাংক খাত। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ২৩ শতাংশ অবদান ছিল এ খাতে। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ব্যাংক খাতে প্রতিদিন ৩৮৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রকৌশল খাতে ১২ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই খাতে প্রতিদিন ২০৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ওষুধ-রসায়ন খাত ১১ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। অন্য খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র ও জ্বালানি-বিদ্যুত খাতে ১০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৯ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৫ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড, সেবা-আবাসন ও বিবিধ খাতে ৩ শতাংশ, আইটি, সাধারণ বিমা, সিরামিক ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে ২ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, ট্যানারি ও জীবন বীমা খাতে ১ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো, বারাকা পাওয়ার, সিটি ব্যাংক, ইফাদ অটোস, সাইফ পাওয়ার টেক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সামিট পাওয়ার ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইসলামী ব্যাংক, ফনিক্স ফাইন্যান্স, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাইফ পাওয়ার টেক, জাহিন টেক্স, আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড, এসিআই, আইডিএলসি, সাউথ ইস্ট ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বিডি অটোকারস, কেডিএস এক্সেসরিজ, ন্যাশনাল টিউবস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, ঝিল বাংলা সুগার, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, বাংলাদেশ বিল্ডি সিস্টেম, সায়হাম কটন, গোল্ডেন হার্ভেস্ট ও ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড।
×