ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ ওঠায় পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধার হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ ওঠায় পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধার হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ২৮ জানুযারি ॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ আনায় সুলতান মৃধা (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধার হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। শনিবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে ইন্দুরকানী গ্রামে তার নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানা যায়, ইউএনও, ওসি, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। দাফনের পূর্বে তার ছেলে ডালিম পিতার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। সুলতান মৃধার মৃত্যুর কারণে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মৃধার ছেলে ভূমি অফিসের এমএলএসএস ডালিম মৃধা শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, আমার চাচা আঃ হাকিম মৃধার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সে আমাদের হয়রানি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোতালিব হাওলাদারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে আমার পিতার বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ দায়ের করে। এর আগেও ঐ মোতালেবকে দিয়ে আমার পিতার বিরুদ্ধে জামুকায় অভিযোগ দিয়েছিল। যেটা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে আমার পিতা এ বিষয়টি নিয়ে মানসিক অস্থিরতার মধ্যে ছিল। মৃত্যুর আগে সে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। শুধু এ কারণেই তিনি হার্ট এ্যাটাক করে মারা যান। তাই আমি এদের বিচার চাই। মুক্তিযোদ্ধা আঃ সত্তার বলেন, লালবই ও ভারতীয় তালিকায় আমাদের নাম রয়েছে। এমনকি যুদ্ধশেষে ক্যাম্পে অস্ত্র জমার রশিদও রয়েছে আমাদের কাছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে তাকে ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে সুলতান মৃধার মতো আমাদের বিরুদ্ধেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিযোগ দায়ের করেছে সে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার স্বপন কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মৃধা মারা যাওয়ার আগের দিনও আমার সঙ্গে কথা বলেছিল। সহযোদ্ধারা যাতে তার পক্ষে সাক্ষী না দেয় সেজন্য তার বিরোধী পক্ষ তৎপর ছিল। মূলত তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে সে খুব চিন্তিত ছিল। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোতালিব হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
×