ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রিকার্ভ ও কম্পাউন্ডের ফাইনালে হীরা-বন্যা

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

রিকার্ভ ও কম্পাউন্ডের ফাইনালে হীরা-বন্যা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইএসএসএফ আন্তর্জাতিক সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ আরচার দলের অন্তত দুটি রৌপ্যপদক জয় নিশ্চিত হয়েছে। শনিবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় মেয়েদের এককের রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড ইভেন্টের সেমিফাইনাল। এতে রিকার্ভের ফাইনালে উঠেছেন হীরা মনি। আর কম্পাউন্ডের ফাইনালে ওঠেন বন্যা আক্তার। রিকার্ভের ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে বাংলাদেশের রাদিয়া আক্তার শাপলা ৬-০ সেটে আজারবাইজানের গাসিমোভার কাছে হেরে যান। শনিবার মেয়েদের রিকার্ভের সেমিফাইনালের লড়াইয়ে বিকেএসপির রাদিয়া আক্তার শাপলাকে ৬-২ সেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন হীরা মনি। আর কম্পাউন্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুস্মিতা বণিককে মাত্র ১ পয়েন্টে (১৩০-১২৯) হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশ আনসারের বন্যা আক্তার। ফাইনালে উঠে হীরা মনি উচ্ছ্বাসে বলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে আমি যাকে হারিয়েছি সে অলিম্পিকে খেলেছে। এরপর সেমিতে বাংলাদেশের শাপলাকে হারিয়েছি। নিজেদের মধ্যে খেলা ছিল তাই ততটা চাপ ছিল না। ফাইনালে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব।’ এদিক ফাইনালে হীরা মনির প্রতিপক্ষ আজারবাইজানের রামোজানোভা, যার বিপক্ষে এখনও খেলননি এই এই তীরন্দাজ। এ প্রসঙ্গে হীরার ভাষ্য, ‘আমি এখনও রামোজানোভার বিপক্ষে খেলিনি। তবে শিরোপা জিততে আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করব।’ এদিকে কম্পাউন্ড ইভেন্টের ফাইনালে উঠে বন্যার প্রতিক্রিয়া, ‘খুব ভাল লাগছে যে বাংলাদেশের হয়ে ফাইনালে উঠেছি। এতদূর যেহেতু আসতে পেরেছি সেহেতু স্বর্ণ জেতাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য।’ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বন্যার প্রতিপক্ষ ইরাকের ফাতিমা আল মাশাদানি। শ্যামলীর বিদায়, তবে ... গত বছর ব্রাজিলের রিও অলিম্পিকে গিয়ে খেলে এসেছেন। সেখানে মেয়েদের ব্যক্তিগত ইভেন্টের র‌্যাঙ্কিং রাউন্ডে ৭২০-এর মধ্যে ৬০০ পয়েন্ট স্কোর করেন। অলিম্পিকে অংশ নেয়ার স্বভাবতই তার ঘিরে প্রত্যাশাটা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সঙ্গে সমন্বয় ঘটানো হলো না আর। রিও অলিম্পিকের চেয়েও এবার ২ পয়েন্ট বেশি স্কোর করেও শেষ চারে যেতে পারলেন না নড়াইলের মেয়ে শ্যামলী রায়। বাংলাদেশের আরচারির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক আরচারি টুর্নামেন্ট ‘আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ মহিলাদের রিকার্ভ এককে শ্যামলী ৬০২ পয়েন্ট স্কোর করেন। শনিবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে তার সমান স্কোর করেন স্বদেশী আরও দুই প্রতিযোগী শাপলা আক্তার এবং বন্যা আক্তার। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে এই তিনজনের মধ্যে তৃতীয় হয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে বাদ পড়েন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই আরচার। ‘আসলে আমি নিজেও বুঝতে পারছি না কিভাবে হেরে গেলাম। সকালে খেলার আগে আমাদের অনুশীলনের সময়টার মাঝে বড় রকমের একটা গ্যাপ ছিল। এই লম্বা বিরতির কারণেই সম্ভবত মনোসংযোগ খুইয়ে বসি। সেই সঙ্গে বেশ স্থায়ুচাপে ভুগতে থাকি। এর প্রভাব পড়ে আমার পারফরম্যান্সে। ফলে ভাল করতে পারিনি। ফাইনালে ওঠার এত আগেই এভাবে বিদায় নিতে হবে, ভাবিনি। এজন্য বেশ আপসেট। অবশ্য কোচ ও সতীর্থরা আমাকে সান্ত¡না ও উৎসাহ দিয়েছেন। কেননা আমার আরও খেলা বাকি আছে (মিশ্র দলগত, সঙ্গী রোমান সানা, কাকতালীয়ভাবে রোমানও শ্যামলীর মতো শনিবার হেরে বিদায় নেন, তবে সেটা তাম্রপদকের লড়াইয়ে)। রিকার্ভে দুটি গোল্ডের আশা করি। মেয়েরা আছে তো আশা করি এখন এই বিভাগে আমরা ভাল করব।’
×