ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্লুটোনিয়াম তৈরির চুল্লি আবার চালু করল উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

প্লুটোনিয়াম তৈরির চুল্লি আবার চালু করল উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া এর প্রধান পরমাণু স্থাপনায় একটি চুল্লির কাজকর্ম আবার শুরু করেছে বলে নতুন বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ছবি থেকে আভাস পাওয়া যায়। এটি দেশের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচীর জন্য প্লুটোনিয়াম তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুক্রবার এক মার্কিন গবেষণা সংস্থা এ কথা জানায়। খবর গার্ডিয়ানের। ওয়াশিংটনের ‘থার্টি এইট নর্থ’ নামের ঐ প্রজেক্ট জানায়, উত্তর কোরিয়া ইয়াং বিয়নে চুল্লিটি আবার চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পূর্ববর্তী ১৮ জানুয়ারির বিশ্লেষণ থেকে আভাস পাওয়া যায়। এর আগে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের জন্য আরও প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করতে পূর্ণ প্রক্রিয়াকরণের জন্য নিঃশেষিত জ্বালানি রডগুলো নামিয়ে ফেলা হয়। থার্টি এইট নর্থ দেশটির পরমাণু কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে থাকে। প্রজেক্টের এক রিপোর্টে বলা হয়, চুল্লিটি কোন পর্যায়ের শক্তিতে চালিত হচ্ছে, তা ধারণা করা কঠিন, তবে সেটির বেগ উল্লেখযোগ্য হতে পারে। থার্টি এইট নর্থ কোরিয়ার এক রিপোর্টে গত সপ্তাহে বলা হয়, ২০১৫ সালের শেষ ভাগের পর থেকে চুল্লিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। উত্তর কোরিয়া বরাবর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে এর পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী বজায় রেখেছে। উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচীর বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ চলার মধ্যে চুক্তিটি দৃশ্যত আবার চালু হওয়ার খবর বেরলো। এ কর্মসূচী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য এর প্রথম বড় রকমের সঙ্কট বয়ে আনতে পারে। ঐ রিপোর্টে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া পরমাণু বোমার জন্য উচ্চ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করে থাকে। দেশটির হাতে গত বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ২০টি বোমা তৈরি করার মতো যথেষ্ট ফিসাইল উপকরণ থাকার কথা। দেশটির সেই সময়ে প্রতি বছর আরও সাতটি বোমা তৈরির সামর্থ্য অর্জন করারও কথা। অর্থ সঙ্কটে ইরাকে রেশন কমাচ্ছে জাতিসংঘ ইরাকের বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা ৫০ শতাংশ কমিয়েছে জাতিসংঘ। দাতাদের কাছ থেকে অর্থ পেতে দেরি হওয়ায় বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প (ডব্লিউএফপি) এটি করেছে বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে মসুলে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে ইরাকী বাহিনী। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ পালিয়ে এসেছে। -আল-জাজিরা
×