শীত ও তাপ
ব্রত রায়
শীতের হাওয়ার কাঁপন লাগে
বাংলা নামের দেশটাতে
ব্যস্ত সবাই শীত ঠেকানোর
নানান রকম চেষ্টাতে!
লেপের দোকান কেউ খোঁজে,
কেউ গরম কাপড় ক্রয় করে;
পথের ধারে বাস করে যে
শীত দেখে তার ভয় করে!
শীতের সাথে লড়াই করার
রসদ কেনার সামর্থ্য
যার মোটে নাই তার কপালে
জুটবে শীতের কামড় তো!
সমর্থ্যবান আছেন যারা
বাড়ান যদি হাতগুলো
কষ্ট ওদের লাঘব হবে,
ঊষ্ণ হবে রাতগুলো!
শীতের দেশে
মণিকাঞ্চন ঘোষ প্রজীৎ
শীতের দেশে বেড়াই ভেসে
শাল-পিয়ালী মন;
পাতা ঝরা বৃক্ষগুলো
ছাড়লো বুঝি বন।
হলুদ গাঁদায় শিশির জমে
হয়ে গেছে হিম;
মাঠের ভেতর থোকায় থোকায়
ঝুলে আছে শিম।
শর্ষে ফুলে মৌমাছিদের
নিত্য ওড়াউড়ি;
পাখ-পাখালির ভিড় কমেছে
দেখে শীতের বুড়ি।
লাল হয়েছে সবুজ পাতা
নীল হয়েছে চোখ;
শীতের দেশে শুভ্র তুষার
করছে হাজার শোক।
শালিক ছানা
আলমগীর কবির
দুপুর বেলা খোকন তখন
আঁকার খাতায় আঁকছিলো,
জানলা দিয়ে হঠাৎ দেখে
শালিক ছানা ডাকছিলো।
গাছের নিচে পড়ে থেকে
গাছের ডালে পাখি মা,
বললো খোকন, শালিক ছানা
বাসায় তুলে রাখি মা।
দুইটি গালে চুমু খেয়ে
এলো খোকার মা সাথে,
খোকন নিজে শালিক ছানা
রাখলো তুলে বাসাতে।
মা পাখিটা ভালোবাসা
জানায় তাদের ভাষাতে।
খোকন সোনার দিন কেটে যায়
রঙিন স্বপ্ন আশাতে।
বাবা
জোবায়দা আক্তার চৌধুরী (ফেন্সী)
বাবার কথা পড়লে মনে
চোখে আসে জল
বাবার জায়গা কেউ কখনও
নিতে পারে বল?
চোখের পানি ফেলতে চাই না
বাবা কষ্ট পাবে
ওপাড় থেকে বলবে বাবা-
অশ্রু মুছো, কষ্টগুলো হারিয়ে যাবে।
আমি আমার বাবার মেয়ে গর্ব করি খুব
বাবার গৌরব গাথা কথা শুনে ভরে যায় বুক।
তুমি নেই পাশে কি হয়েছে তাতে?
তোমার স্নেহের ছায়া আমার মাথায় আছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: