ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে গতি নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭

আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে গতি নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে গতি নেই। মন্ত্রিসভার বেঁধে দেয়া সময় পেরিয়েছে আরও তিন মাস আগে; কিন্তু আবাসিক এলাকায় এক সময় অনুমোদন পাওয়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো তো আছেই, বহাল তবিয়তে রয়েছে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোও। এ কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কামুক্ত নয় গুলশান, বনানী-বারিধারার মতো স্পর্শকাতর কূটনৈতিক এলাকাগুলো। তবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলছে, তারা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। স্কুল আছে কিন্তু স্কুলের নামফলক নেই। বলছি গুলশান এক এ ৯ নম্বর সড়কের ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কথা। গুলশানের মতো আবাসিক এলাকার পেটের মধ্যে গড়ে ওঠা এমন স্কুলের সংখ্যা অনেক। একই স্কুলের নারী শাখাটি রয়েছে ২০ নম্বর সড়কে। এখানেও নেই নামফলক। জানা গেল, সিটি কর্পোরেশন নেমপ্লেট সরিয়ে নিতে বলেছে তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ নেমপ্লেট সরিয়ে নিয়েছে। তবে স্কুলটির এখন থেকে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গুলশান-বনানীর মূল সড়ক তো বটেই অলিগলিতেও রয়েছে অসংখ্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এমনকি অনেক বাসাবাড়ির নিচেই গড়ে তোলা হয়েছে খাবারের দোকান, বিউটি পার্লার, ছোট মার্কেট। আবাসিক এলাকাতে রয়েছে গার্মেন্টসও। ডিএমপি গুলশান জোনের উপকমিশনার মোস্তাফা আহমেদ একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে বলছেন, এতসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কারণে, যে পরিমাণ মানুষ প্রতিদিন এসব এলাকায় যাওয়া আসা করেন, তাতে নিরাপত্তা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। একই কারণে দিনভর দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তিও পোহাতে হয়। সমস্যার কথা স্বীকার করে রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী ওই মিডিয়াকে বলছেন, তারা পর্যায়ক্রমে এসব প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে নামবে। তবে, স্পর্শকাতর এসব এলাকায় কী পরিমাণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আছে তার সঠিক কোন হিসাব নেই। গুলশান, বনানী, বাবিধারার মতো কূটনৈতিক এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরী, কারণ এর সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত। আর সেটি করতে গিয়ে যদি অনুমোদনহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ করতে হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ঢিমেতালে চলার কোন সুযোগই নেই, এমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষরা।
×