ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পেঁয়াজ-সবজির দাম কমেছে, বেড়েছে ভোজ্যতেল চিনির

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭

পেঁয়াজ-সবজির দাম কমেছে, বেড়েছে ভোজ্যতেল  চিনির

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আদা, পেঁয়াজ ও সবজির দর কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই চিনি ৬৫-৬৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২-৩ টাকা বেড়ে প্রতিলিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৮-১০২ টাকায়। আর ৪৯০-৫১০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে পাঁচ লিটারের বোতল। তবে চলতি মাসের মধ্যবর্তী সময়ে লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। রূপচাঁদা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৩ টাকা প্রতিলিটার। যা আগে ছিল ৯৮ টাকা। সিটি গ্রুপের তীর তেলও ৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮-২৫ টাকায়। এছাড়া দেশী রসুনের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা। এছাড়া চাল, আটা, ডাল, ডিম এবং ময়দার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী গনি জনকণ্ঠকে বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি ও রসুন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে মনে করেন এই মুদি ব্যবসায়ী। অন্যদিকে, শীতের বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি আলু ১৫ টাকা, কালো বেগুন ৪০ টাকা, সাদা বেগুন ৩০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, বিচি শিম ৪০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ২৫ টাকা, লাল শাক ও পালং শাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ১৫ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। এছাড়া দেশী মুরগি হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯শ’ টাকায়। চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে মোজাম্মেল মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়, হবি আঠাশ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, আঠাশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সিলভার কার্প কেজি ১৪০ টাকা, পাঙ্গাস কেজি ১৩০ টাকা, কাতল কেজি ১৮০ টাকা, রুই কেজি ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া কেজি ১০০ টাকা, সরপুঁটি ২৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের ইলিশের জোড়া বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা। এছাড়া গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×