ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তের আগুনে স্কুল পুড়ে ছাই

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭

গাইবান্ধায়  দুর্বৃত্তের  আগুনে  স্কুল পুড়ে ছাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৭ জানুয়ারি ॥ দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে জেলার সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী চরাঞ্চল কুন্দেরপাড়ার একটি হাই স্কুলের গোটা ভবন পুড়ে গেছে। আগুনে আসবাবপত্র, শিক্ষা সরঞ্জাম, শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, বইপত্র পুড়ে ছাই। ক্ষতি হয়েছে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা গণউন্নয়ন কেন্দ্রের অর্থায়নে ২০০৩ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এখানে ৫৯৭ ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টায় হঠাৎ বিদ্যালয় ভবনে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে গোটা বিদ্যালয় ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ। আগুনে অফিস কক্ষসহ ৭টি ঘর, আসবাবপত্র, শিক্ষা সরঞ্জাম পুড়ে ছাই। এছাড়া অফিস কক্ষের আলমারীতে রাখা শিক্ষার্থীদের ১২ বছরের কয়েক হাজার স্কুল সাটিফিকেটও পুড়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু লোক সম্প্রতি স্কুলের কার্যক্রমে নানাভাবে বাধা দিয়ে আসছিল। তারা আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা করছিল। কিছুদিন থেকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই একটি চক্র মাদক, জুয়া ও যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্যের আসর বসায়। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কুন্দেরপাড়া স্কুল মাঠে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব কারণে ওই চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে তার ধারণা। কামারজানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী চরাঞ্চল কুন্দেরপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত গণউন্নয়ন একাডেমি (হাইস্কুলটি) সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। নারী শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আবাসিক সুবিধা থাকায় প্রতিষ্ঠানটি চরাঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম. আব্দুস সালাম জানান, বিদ্যালয়টি ক্লাস শুরু করতে নতুন করে আবার ভবন নির্মাণ করতে হবে। এজন্য সময়ের প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা এখন লেখাপড়া কোথায় করবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায়। এদিকে খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ছামছুল আজম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আলীয়া ফেরদৌস জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে পুড়ে যাওয়া হাইস্কুল পরিদর্শন করা হয়েছে। আগুনের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
×