ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

মাইকেল মধুসূদনকে নিবেদিত প্রাঙ্গণে মোরের নতুন নাটক

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

মাইকেল মধুসূদনকে নিবেদিত প্রাঙ্গণে মোরের নতুন নাটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহাকবি, নাট্যকার ও বাংলা ভাষায় সনেটের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৩তম জন্মজয়ন্তী ছিল বুধবার। তার জন্মদিনকে উপলক্ষ করে নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চে এনেছে নতুন প্রযোজনা ‘দাঁড়াও... জন্ম যদি তব বঙ্গে’। নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হলো বৃহস্পতিবার। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হয়। অপূর্ব কুমার কু-ু রচিত নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হীরা। এটি প্রাঙ্গণেমোরের ১২তম প্রযোজনা। মৃত্যু ও বেঁচে থাকার মধ্যবর্তী সময়কালে মানুষ ফিরে দেখে নিজের ফেলে আসা দিনগুলো। তেমনই ফিরে দেখেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। জীবনের শেষ এক ঘণ্টায় তিনি খুঁজে ফিরেছিলেন অতীতকে। আর তাই নিয়েই নাটক ‘দাঁড়াও... জন্ম যদি তব বঙ্গে’। সদ্যপ্রয়াত শিল্পসঙ্গী, বিদেশিনী স্ত্রী হেনরিয়েটার কল্পিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এগিয়ে চলে মাইকেলের অন্তিম যাত্রা। নাটকটি প্রসঙ্গে নাট্যকার অপূর্ব কুমার কু-ু বলেন, যাপিত জীবনের গনগনে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়তে পুড়তে মাইকেল কিভাবে শিল্প সৃজনের অমৃতধারায় শিল্প অনুরাগীর শিল্প পিপাসা নিবৃত্ত করে চলেছিলেন বিরবধি, তা নিয়ে আত্মানুসন্ধানমূলক এ নাটক। তিন চরিত্রের এ প্রযোজনা মাইকেল মধুসূদন দত্ত চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত হিরা। এছাড়া হেনরিয়েটা চরিত্রে শুভেচ্ছা রহমান এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রামিজ রাজু। নাটকটির মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ, সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন রামিজ রাজু ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আহমেদ সুজন। আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের তৃতীয় দিন ॥ এক সঙ্গে রাজধানীর ছয়টি ভেন্যুতে চলছে দশম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী সেøাগানে এ উৎসবের আয়োজক চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ। ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহী ও রংপুরের ৫টি ভেন্যুতে চলমান উৎসবে ৫৪ দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। ছোটদের ছবি দেখার সঙ্গে খুদে নির্মাতাদের বিকাশে কর্মশালাসহ নানামুখী আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয়েছে এ আয়োজনে। বৃহস্পতিবার উৎসবের তৃতীয় দিনে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা। এটি পরিচালনা করেন মেজবাহ রহমান সুমন। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন খুদে নির্মাতারা। এছাড়া বেলা দেড়টা থেকে প্রদর্শিত হয় খুদে নির্মাতাদের পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলো। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত নিজেদের নির্মিত চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করে খুদে নির্মাতারা। শিশুদের জন্য বিনা দর্শনীতে উপভোগ্য এ উৎসবে আজ শুক্রবার প্রদর্শিত হবে অনেক চলচ্চিত্র। সকাল এগারোটায় জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবেÑ রেড লাইন (ইরান), হেইডি এ্যাট দ্যা ফলেই আর্টিস্ট (সুইজারল্যান্ড), মি এজ এ মাংকি (পর্তুগাল), পাথস (পর্তুগাল), অটাম লিভস (ইরান), পিপো (ফিলিপিন্স), দ্য সাইলেন্স (ইতালি), দ্যা বস (ইরাক), এ্যামরফোয়াজ (ইরান), ওয়ান ডে ইন জুলাই (ইতালি), সেভিং দ্যা সেভিয়ার (ভারত), পথ (বাংলাদেশ) ও শ্যাডোজ ইন টাউন (ইরান)। দুপুর দুটায় দেখানো হবে জার্মানির ছবি অফলাইন-আর ইউ রেডি ফর দ্যা নেক্সট লেভেল, পর্তুগালের ছবি মাই লিটল হাউস, ফিলিপিন্সের ছবি পভার্টি, পাকিস্তানের চলচ্চিত্র জেনেসিস-মনসুন ফেদারস ও ইরানের ফিশ। এছাড়া বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা ছয়টার সময়সূচীতে রয়েছে কয়েকটি ছবির প্রদর্শনী। এদিন সন্ধ্যা ছয়টায় ধানম-ির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে দেখানো হবে মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত ছবি দীপু নাম্বার টু। আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘ভুটান ডায়েরিজ’ ॥ সুখের রাজ্য নামে পরিচিত এক দেশ ভুটান। দেশটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতার (জিডিপি) তুলনায় মানুষের গড় সুখানুভবের ওপর বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। আর যুগ যুগ ধরে এই সুখে থাকার বিষয়টি নিয়ে গবেষণার জন্য দুই ধাপে এদেশের একদল আলোকচিত্রী ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ভুটানে গিয়েছিলেন। তারা ‘ফটো এক্সপিডিশন টু ভুটান’ শীর্ষক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১৬ আলোকচিত্র শিল্পীর নির্বাচিত ৪৪ ছবি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ধানম-ির দৃক গ্যালারিতে শুরু হলো ‘ভুটান ডায়েরিজ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বাংলাদেশে এই প্রথম ভুটানকে কেন্দ্র করে কোন আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হলো। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও প্রকাশক মঈনুল আহসান সাবের, সাবেক মন্ত্রী ডক্টর আবদুল মঈন খান, বাংলাদেশে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ডেলিগেশনের প্রধান এইচই পিঁয়েরে মায়াউডন ও বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন। তিন দিনের এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
×