ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

উবাচ

এই সার্চ কমিটি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ এত দিন বিএনপিই সার্চ কমিটির জন্য পাগল ছিল। পাছে ভয় ছিল সরকার যদি বাছাবাছি না করেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে দেয়। এখন সার্চ কমিটি গঠন করার পর বিএনপি বলছে এই সার্চ কমিটি মানি না। এতদিন বিএনপিই বলে এসেছে রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ। এবার ইনিয়ে বিনিয়ে বলছে রাষ্ট্রপতিই আওয়ামী লীগের কথা শুনেছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক আলোচনা সভায় বলেছেন, এই সার্চ কমিটি হয়েছে ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের’ ব্যক্তিদের নিয়ে, কারণ পিএসপি চেয়ারম্যান, মহা হিসাব নিরীক্ষক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসিকে সরকারই নিয়োগ দিয়েছে। আমরা শুধু হতাশ হইনি, আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। এই সার্চ কমিটি কী ধরনের নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, তা এখনই বুঝতে পারছি। আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন যদি না করা যায়, তাহলে মানুষকে প্রতারণা করে, বোকা বানিয়ে এই ধরনের সার্চ কমিটি করে, যে সার্চ কমিটি গঠনের সঙ্গে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কোন প্রতিফলন নেই, সেখানে এটা কোন দিন তার কাজ করতে সক্ষম হবে না। তামাশা স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সান্ত¡না জানাতে ছুটে গিয়েছিলেন। টেলিভিশনগুলো সরাসরি সম্প্রচার করেছিল সেই সময়টা। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি খালেদা জিয়ার দরজায়। স্বাগত জানানো তো দূরের কথা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকল ভেতর থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়া হলো। ডাকাডাকি করা হলো কেউ বাড়ির দরজাও খুলল না। বোঝা গেল হিংসা আর ক্ষোভে দলটি সৌজন্যতা দেখাতেও ভুলে গেছে। টিভিতে এই ঘটনা দেখার পর সারাদেশের মানুষ ছি ছি করছে। ওইদিন রাতে টেলিভিশন টকশোতে বিএনপির বুদ্ধিজীবীরাও হতবাক হয়েছে দলটির আক্কেল দেখে। এরপর থেকে এই কথা যতবার উঠেছে বিএনপি ততবারই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিএনপির প্রবাসী নেতা সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন এত দিনে সেই রহস্য খুঁজে পেয়েছেন। মিলন বলেছেন ওই সময় আসলে প্রধানমন্ত্রী সান্ত¡না জানাতে নয় গিয়েছিলেন তামাশা করতে। তিনি মালয়েশিয়াতে এক সমাবেশে বলেন, সন্তানহারার শোকে বিহ্বল মায়ের সঙ্গেও আপনি হিংসাত্মক রাজনীতি করতে ছাড়েননি। কোন কথা মাকে সান্ত¡না দিতে গেলে বিষয়টি হিংসাত্মক হবে কেন। এর কোন জবাব মিলনের বক্তব্যে নেই। আত্মসন্তুষ্টি স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী নির্বাচনে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে আপাতত এমন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে না। কিন্তু রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। দলটি এখন বিপর্যস্ত সাংগঠনিক অবস্থায় মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে প্রধান শরীক যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের বিপর্যয়েরও আঁচ লেগেছে বিএনপির গায়ে। গত এক বছর তো আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠেও দাঁড়াতে চাইছে না দলটি। এইসব আত্মসন্তুষ্টি হিতে বিপরীতও হতে পারে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে সাবধান করেছেন দলের নেতাকর্মীদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারের মেয়াদ আছে আর মাত্র এক বছর দশ মাস। উন্নয়ন অর্জনের কোন ঘাটতি না থাকলেও সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা ভালর জন্য আশা করব, কিন্তু মন্দের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে জিতেই গেছি এই আত্মসন্তুষ্টি আমাদের ডোবাবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার না থাকলে নেতাকর্মীদের ‘ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়তে হবে’ মন্তব্য করে এজন্য আরও সতর্ক হওয়ার তাগিদ দেন এ আওয়ামী লীগ নেতা। বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, আরেকবার যদি আমাদের ক্ষমতা হারাতে হয়, তবে ২০০১-০৬ মেয়াদের থেকেও ভয়ঙ্কর, ভয়াল রূপ নিয়ে তারা আবির্ভূত হবে। তখন আর প্রাণে বাঁচতে পারবেন না।
×