ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ লীগ কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় লিভারপুলের

৩৮ বছর পর ফাইনালে সাউদাম্পটন

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

৩৮ বছর পর ফাইনালে সাউদাম্পটন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যর্থতার গ-ি থেকে বের হতে পারেনি লিভারপুল। ঐতিহ্যবাহী ইংলিশ লীগ কাপ (ইএফএল কাপ) ফুটবলের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগেও হারতে হয়েছে দ্য রেডসদের। আর লিভারপুলকে বিদায় করে ৩৮ বছর পর এই আসরের ফাইনালে উঠে গেছে সাউদাম্পটন। বুধবার রাতে এ্যানফিল্ডে শেষ চারের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে স্বাগতিক লিভারপুলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে অতিথি সাউদাম্পটন। ম্যাচের ৯১ মিনিটে সানে লং জয়সূচক গোলটি করেন। এর আগে নিজেদের মাঠে ১১ জানুয়ারি প্রথম লেগেও একই ব্যবধানে জিতেছিল সাউদাম্পটন। দুই লেগ মিলিয়ে তাদের জয় ২-০ গোলে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সাউদাম্পটনের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বৃহস্পতিবার রাতেই রেড ডেভিলসদের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কথা। সেমির প্রথম লেগে ম্যানইউ ২-০ গোলে হারায় হাল সিটিকে। ১৯৭৯ সালের পর লীগ কাপের ফাইনালের হাতছানি নিয়ে মাঠে নামে সাউদাম্পটন। পুরো ম্যাচে লিভারপুলের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে সেটিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে ক্লাউডে পুয়েলের দল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য দারুণ এক পারফর্মেন্স। ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। এটা ঠিক যে ব্যবধানটা বড় নয়, কিন্তু জয়টা গুরুত্বপূর্ণ। সাউদাম্পটনের কাছে প্রথম লেগে হারের আগের দুই ম্যাচও জয় দেখেনি দ্য রেডসরা। প্রিমিয়ার লীগে ২-২ গোলে ড্র করে সান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে। এরপর চতুর্থ সারির দল প্লাইমাউথের সঙ্গে এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে গোলশূন্য ড্র করে লিভারপুল। তারপর সাউদাম্পটনের কাছে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। এবার বাঁচামরার লড়াইয়ে সাউদাম্পটনের কাছে আরেকবার হারতে হলো তাদের। শুধু তাই নয়, প্রিমিয়ার লীগেও নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জয় পায়নি লিভারপুল। ঘরের মাঠে সোয়ানসি সিটির কাছে হার মানে ৩-২ গোলে। এমন কঠিন সময় পিছিয়ে থেকে লীগ কাপের মিশনে নামে দলটি। সেখানেও শেষ রক্ষা হলো না। বিদায় নেয়ায় সঙ্গত কারণেই নাখোশ লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপ। তিনি বলেন, আমরা মোটেও খুশি না দলের পারফর্মেন্সে। সবশেষ কয়েক ম্যাচে দল যা করেছে তা মেনে নেয়া কঠিন। বিশেষ করে দলের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষককে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, আসলে কিছু সময় ভুল করলে তার মাশুল দিতে হয়। আমাদের রক্ষণভাগ ও গোলকিপিং প্রত্যাশিত হচ্ছে না। এমন অনেক গোল আমরা হজম করছি তখন আর কিছুই করার থাকে না। তবে হারলেও প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানাতে ভুল করেননি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাবেক এই কোচ।
×