ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ নিয়ে জনগণ দ্বিধাবিভক্ত

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ নিয়ে জনগণ দ্বিধাবিভক্ত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার দুটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। একটি আদেশ মেক্সিকোর সীমান্তজুড়ে দেয়াল নির্মাণ সম্পর্কিত এবং অপরটি শরণার্থীদের জন্য ‘অভয়ারণ্য নগরী’ বোধ করা বিষয়ক আদেশ। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে খড়গ্হস্ত হতে শুরু করেছেন। খবর এএফপির। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে দেশটির রাজনৈতিক ও মানবাধিকারকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা ট্রাম্পের এসব কর্মকা-ের প্রতিবাদ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের এ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শনেইডারম্যান অবশ্য ট্রাম্পের এসব সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন না। তিনি বলেছেন, ‘যে ক্ষমতাবলে স্থানীয় সরকার নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করে তাতে হস্তক্ষেপ করা কেবল অসাংবিধানিকই নয় বরং তা জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্যও হুমকিমূলক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আমি এসব আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান জানাাচ্ছি। তিনি যদি সেটি না করেন তবে আমার সাধ্যে যতটুকু কুলায় এর বিরুদ্ধে আমি লড়ে যাব।’ অন্যদিকে ট্রাম্পকে যারা সমর্থন করছেন তাদের বেশিরভাগই রিপাবলিকান দলের কর্মী বা সমর্থক। তারা বলছে, এসব পদক্ষেপের ফলে দেশ অপরাধী ও সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে। টেক্সাস থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য মাইকেল ম্যাককল বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের নিরাপত্তার জন্য একাধিক স্তরবিশিষ্ট যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলোকে আমি সমর্থন করি, অপরাধী, মাদক চোরাকারবারি এবং সন্ত্রাসীর হাত থেকে দেশকে নিরাপদ করতে এসব পদক্ষেপ প্রয়োজন রয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করবেন। অসমে সাতটি বিস্ফোরণ ভারতের অসমে সাতটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের সূত্রগুলো এ ঘটনার জন্য বিদ্রোহী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (উলফা) গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। অসমের তিন জেলায় এই বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে। খবর ওয়েবসাইটের। বিস্ফোরণগুলোতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। রাজ্যটির পূর্বাঞ্চলীয় দিব্রুগড়, তিনশুকিয়া ও চারাইদিও জেলার চারটি স্থানে প্রায় একই সময়ে বিস্ফোরণগুলো ঘটে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিদ্রোহীরা বিচ্ছিন্ন স্থানগুলোতে বোমা পেতে রেখেছিল শুধু তাদের অস্থিত্ব জানান দেয়ার জন্য।’ বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীটি ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবস প্রত্যাখ্যানের ডাক দিয়েছিল।
×