ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উখিয়ায় ১৯৭১ সালের শিশু মুক্তিযোদ্ধা!

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

উখিয়ায় ১৯৭১ সালের শিশু মুক্তিযোদ্ধা!

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ উখিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকায় ১৯৭৯ সালে উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্র রুহুল আমিনের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সর্বত্র তোড়পাড় চলছে। ১৯৭১ সালে রুহুল আমিন ৬-৭ বছরের শিশু। এছাড়াও একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় যাচাই-বাছাই কমিটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। উখিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া চৌধুরী, শহীদ পরিবারের সদস্য হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহআলম, মুক্তিযোদ্ধা বিডিআর (অব) ল্যান্স নায়েক আবুবক্কর ছিদ্দিকসহ প্রকৃত কয়েক মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানকার যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ব্যাপক অস্বচ্ছ, ত্রুটিপূর্ণ ও রাষ্ট্রের নীতি পরিপন্থী। জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ৬-৭ বছর বয়সের শিশু এবং ১৯৭৯ সালে উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র খলিলুর রহমানের পুত্র রুহুল আমিনের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় ব্যাপক হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছিল উপজেলা সম্মেলন কক্ষে। রেজিস্ট্রি করা বিয়ের কাবিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৬ অক্টোবর বিয়ে করার সময় রুহুল আমিনের বয়স ছিল ২৬ বছর। এ ঘটনায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ১৯৭১ সালে জুলাই মাসের দিকে বার্মা পালিয়ে গিয়ে দেশ স্বাধীনের পর নিরাপদে দেশে ফিরে আসা মধুসূদন দেসহ মুক্তিযুদ্ধে না গিয়েও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে বীরদর্পে সুবিধাভোগ করছে অনেকে। হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও শহীদ পরিবারের সদস্য অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, উখিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে অসংখ্য অভিযোগ থাকার পরও কথিত যাচাই-বাছাই কমিটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লোক দেখানো যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
×