ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. ইউনূস প্রসঙ্গে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গ্রামীণফোনের ৩০ ভাগ জনগণকে দিয়েছিলাম, সেটা নিজে নিয়ে নেন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

গ্রামীণফোনের ৩০ ভাগ জনগণকে দিয়েছিলাম, সেটা নিজে নিয়ে নেন

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, গরিবের হাড়-মাংস ও রক্ত ঝরানো টাকা দিয়ে যিনি বড়লোকিপনা করেন তার আবার দেশের প্রতি ভালবাসা থাকবে কোথা থেকে? দেশপ্রেম থাকবে কিভাবে? গরিব-দুঃখী মানুষের কাছ থেকে সুদ নিয়ে তার এখন অনেক টাকা। কিন্তু সরকারকে কোন ট্যাক্স দেন না। ওই ব্যক্তির ফিক্সড ডিপোজিডে থাকা বিপুল অর্থ কিভাবে এলো তারও কোন হিসাব উনি দিতে পারেননি। আমি আশা করি, অর্থমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এমন কিছু লোক আছে তারা হাজার পাপ করুক, তাদের দোষ যেন দোষই না। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। অথচ আমাদের পান থেকে চুন খসলে কত কথা, কত লেখা হয়। জানি না, তাদের বাচনভঙ্গি বা কার্যক্রমের মধ্যে কী ম্যাজিক আছে? কিন্তু উনি সেই কথামালা দিয়ে অর্থ-সম্পদ নিজের করে একটা অবস্থান করে নিয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে নতুন দল গঠনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুদখোরের ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ওনাদের এখন অনেক টাকা। এই টাকা আমার গরিব-দুঃখী মানুষের সপ্তাহে সপ্তাহে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত টাকা। তারা (ঋণ গ্রহীত) ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে টাকা কামাই করেছে, সেখান থেকে বিশাল অঙ্কের সুদ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই মানুষগুলোর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার থেকে তাকে (ড. ইউনূস) গ্রামীণব্যাংকের এমডি পদ থেকে সরানো হয়নি। উনি নিজেই আদালতে মামলা করে হেরে গিয়ে এমডি পদ খুইয়েছেন। আর মামলায় হেরে যাওয়ার পর তার যত ক্ষোভ যেন আমার ওপর। লবিস্টের মাধ্যমে বিদেশের অনেকের মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করলেন। এমনকি তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে দিয়েও আমাকের ফোন করিয়েছিলেন। তাকে বলেছি, উনি আইন ভঙ্গ করে পদে ছিলেন এবং নিজে মামলা করে পদ খুইয়েছেন। এখানে সরকার কিছু করেনি। ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, উনি কী আমাকে এক কাপ চা খাইয়ে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নিয়েছিলেন, নাকি আমি নিজে তাকে চা খাইয়ে লাইসেন্স দিয়েছিলাম- তা দেশবাসীকে বলুন। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ড. ইউনুস ‘ধোঁকাবাজি ও চিটিংবাজি’ করেছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের লাইসেন্স নেয়ার সময় উনি বলেছিলেন, লভ্যাংশের ৩০ ভাগ গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে, সেই টাকা দিয়ে জনগণের কল্যাণ করা হবে। আমরা তার কথায় বিশ্বাস করে লাইসেন্স দিলাম। কিন্তু পরে তিনি গ্রামীণফোনকে নিজের সম্পত্তি বানালেন। ৩০ ভাগ শেয়ার নিজের নামে রেখে বাকি শেয়ার উনি বেচে দিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রামীণফোনের লাইসেন্স তার (ড. ইউনূস) পাওয়ার কথা ছিল না। টেন্ডারে তৃতীয়স্থানে ছিলেন। তারপরও আমরা দিয়েছিলাম লভ্যাংশের ৩০ ভাগ জনগণ পাবেন। সেটি তো দেনইনি, উল্টো এই প্রতিষ্ঠানকে নিজের সম্পত্তি বানিয়ে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ তার ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা, অথচ একটি টাকা উনি সুদ দেননি। গ্রামীণ ব্যাংক সুদমুক্ত ছিল এটা ঠিক, কিন্তু এই ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে উনি যে আরও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেই প্রতিষ্ঠানগুলো তো আর সুদমুক্ত না। সেই সুদ কেন সরকার পাবে না? সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স তারা কেন দেবে না? সেই প্রতিবেদনও আছে এনবিআরের কাছে। আর ফিক্সড ডিপোজিটে থাকা এত টাকা কোথা থেকে এসেছে সে হিসাবেও তো দিতে পারেননি। এখানে অর্থমন্ত্রী আছেন উনিই দেখবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। আমি বলতে গেলেই তো আমার বিরুদ্ধে শুরু হবে নানা কথা। দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণব্যাংকের আইনেই রয়েছে ৬০ বছরের বেশি কেউ এমডি পদে থাকতে পারবে না। উনি (ড. ইউনূস) সত্তর বছর বয়সেও এমডি পদে বহাল ছিলেন। আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আমার উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী তার কাছে গিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যেহেতু বয়সের কারণে এমডি পদে থাকতে পারেন না, তাই ওই পদ ছেড়ে দিন; আমরা আপনাকে ওই ব্যাংকের ‘এ্যাডভাইজার ইমেরিটাস’ করব। উনি না মেনে ড. কামাল হোসেনের পরামর্শে আদালতে গিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন। মামলায় হেরে গিয়ে এমডি পদ হারালেন। আর সেই ক্ষোভ পড়ল আমাদের ওপর, পদ্মা সেতুর ওপর। তিনি বলেন, পদ হারানোর পর উনি দেশে-বিদেশে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করলেন। একটি স্বনামধন্য পত্রিকার সম্পাদককে নিয়ে উনি (ড. ইউনূস) বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করলেন। হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে লবি করলেন। এরপর কোন অর্থ ছাড় না করেই পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র এনে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দিল। এরপর নানাভাবে আমাদের হেনস্থা করার চেষ্টা হলো। মার্কিন গোয়েন্দা দিয়ে আমাকেসহ আমার ছেলে-মেয়ে, বোন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বিষয়ে নানাভাবে তদন্ত করা হলো; এতটুকু দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। এত কিছু করেও তারা কোন প্রমাণ করতে পারেনি। সংসদ নেতা বলেন, আমি রাজনীতি করি জনগণের কল্যাণের স্বার্থে, ব্যক্তিস্বার্থে নয়। আর জনগণের টাকা লুট করে নিজেদের ভাগ্য গড়ব এ ধরনের আকাক্সক্ষা বা মানসিকতা আমাদের নেই। পারলে জনগণকে বিলিয়ে দিয়েছি, সেটাই আমরা শিখেছি। আর আমাদের মনের জোর ও সততা ছিল বলেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে বলেছিলাম, বিশ্বব্যাংকের টাকায় আর পদ্মা সেতু করব না; যারা কান কথা শুনে একটা উন্নয়নের প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেয়। পদ্মা সেতু বন্ধ হওয়ায় তারা তো মহাখুশি। কিন্তু আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। এখন আমরা নিজের অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। অতিরিক্ত সুদ পরিশোধ করতে অনেকে সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে ॥ সরকারী দলের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের অপর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে তার সরকার গৃহীত ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এক সময় ধারণা ছিল ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্যবিমোচন করতে পারবে। তিনি নিজেও সেটি বিশ্বাস করতেন বলে ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে অনেক সহযোগিতাও করেছেন। কিন্তু দেখা গেছে, ক্ষুদ্রঋণের সুদ ও চক্রবৃদ্ধি সুদের হার এত বেশি যে, এই চক্রে পড়ে মানুষ স্বাবলম্বী হওয়ার বদলে নিঃস্ব হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীণব্যাংকে সাপ্তাহিক সুদও আবার ঋণ দেয়ার সময় অগ্রিম কেটে নেয়া হয়েছে এবং সেটি পরিশোধ করতে গিয়ে আবারও ঋণের জালে গরিব মানুষকে আটকে ফেলা হয়েছে। এর ফলে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ মানুষকে নির্মম অত্যাচার-নির্যাতনে ঘর-বাড়ি হারিয়ে গ্রামছাড়া হতে হয়েছে, অনেকে আত্মহত্যাও করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি, এই অবস্থা আমি জানতাম। এ কারণেই ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নেই। আর দেশের গরিব মানুষ যাতে কেবল ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকে, নিজেদের সঞ্চয়ে নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়েই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রকল্পও নিয়েছি। সব সময় আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাচেতনাই ছিল কীভাবে দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে। তারা নিজের পায়ে দাঁড়াবে, দারিদ্র্যমুক্ত হবে। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই বাবার এই চিন্তাচেতনার সঙ্গে পরিচিত ছিলাম সেহেতুই এই ধারণা নিয়েছি। সেই চিন্তাচেতনা নিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কোন পরিকল্পনা নিয়েই বসে থাকেনি। তা বাস্তবায়নের জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়ার নেয়া হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বলে একটি কথা অতীতে থাকলেও এখন আমলারা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলেই সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সফল হচ্ছে। তিনি বলেন, তার সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই অনেক ঝড়ঝাপটা মোকাবেলা করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতে জ্বালাওপোড়াও, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য এবং মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই এগুতে হয়েছে। সরকারের গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এডিবির ৯৪-৯৫ ভাগ বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশে যে সুশাসন আছে, এতেই প্রমাণ হয়। আমরা যে লক্ষ্য নিয়েছি, তা পূরণ করতে পারব। সেই আত্মবিশ্বাস আমাদের রয়েছে। জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ও কক্সবাজার থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পায়রায় একটি বন্দর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সেখানেও একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ আমরা করতে পারব। বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য অনুসরণীয় দেশ ॥ সরকারী দলের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সারা বিশ্বের জন্য অনুসরণীয় একটি দেশ। অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার এবং নি¤œ আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের সর্বজনীন মডেল। দ্রুত সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বব্যাংক মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী উপস্থাপন করছে। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক গতিধারা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের মূল প্রশ্ন এবং জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সরকারের গৃহীত বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১)- এর সাতটি প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তুলে ধরেন। সাতটি প্রধান লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে (১) জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। যেখানে মাথাপিছু আয় হবে ২ হাজার মার্কিন ডলার। (২) অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ৩৮ শতাংশ অর্জন। (৩) ইতোমধ্যে অর্জিত খাদ্যশস্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে ২০২১ সালের মধ্যে খাদ্যে টেকসই স্বয়ংসম্পূর্ণতায় রূপান্তর। (৪) ২০২১ সালের মধ্যে বাণিজ্য (আমদানি ও রফতানি) জিডিপির শতকরা ৬০ ভাগে উন্নীত করা। (৫) ২০২১ সালের মধ্যে মোট ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন ও ২০২১ সালের মধ্যে সকল মানুষকে বিদ্যুত সুবিধা প্রদান করা। (৬) ২০২১ সাল নাগাদ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী লোকসংখ্যা ১৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং (৭) ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। অবশ্য ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
×