ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাধীকে ছাড় নয়;###;মতিউর রহমান

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ আইনের শাসন

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ আইনের শাসন

কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নির্ভর করে সে দেশের আইনের শাসনের ওপর। যে দেশে যতবেশি আইনের শাসন বজায় রয়েছে সে দেশ ততবেশি শান্তিপূর্ণ। দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক সৃষ্ট ও স্বীকৃত কতিপয় বিধি-বিধানকে আইন বলে। আর এর যথাযথ প্রয়োগকে আইনের শাসন বলে। আইন সবার জন্য সমান। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশের প্রত্যেকটি মানুষই বিচার পাওয়ার অধিকার রাখে। কেউ অপরাধ করলে তাকে সাজা পেতে হবে। তার অপরাধের ধরন অনুযায়ী তাকে শান্তি দিতে হয়। কম বা বেশি হলে তা হবে আইনের দৃষ্টিতে অসাম্য। আইনের শাসনের সঙ্গে নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কেন না নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়াটা স্বাভাবিক। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার নারী হওয়া সত্ত্বেও নারীরা অধিক হারে ধর্ষণ, হত্যা ও কোপের শিকার হওয়াটা লজ্জাজনক। সম্প্রতি, একজন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজ বাসায় খুন হওয়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজেহাল অবস্থাকে নির্দেশ করে। এখনও তনু, মিতু হত্যার কোন ক্লু উদঘাটিত হয়নি। এখনও বিচার হয়নি মুক্তমনা ব্লগার হত্যাকা-ের। কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডারের রায় হয়েছে কিন্তু তা কার্যকর হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। সিলেটের আলোচিত চাপাতি বদরুলের রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় তার বিচার হওয়া নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীরা কোন প্রভাবশালীর ইশারায় ছাড় পেয়ে যান। এখনও বিচার হয়নি সাভারের রানা প্লাজার রানার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সরকারকে নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি জোর দিতে হবে। দীর্ঘ বিচার সূত্রিতা আইনের শাসনের পথে বাধার সৃষ্টি করে। সেক্ষেত্রে, আইনী জটিলতা দূর করে দ্রুত বিচার করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। অপরাধীরা যাতে ছাড় না পায় সে ব্যাপারে সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অপরাধের যথাযথ শাস্তি প্রদান করলে অপরাধ কমে আসবে। কানাইঘাট, সিলেট থেকে
×