ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লতিফ সিদ্দিকীর আসনে উপনির্বাচন ৩১ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

লতিফ সিদ্দিকীর আসনে উপনির্বাচন ৩১ জানুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপনির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে এ আসনে উপনির্বাচনের জন্য নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। প্রথমবার তফসিল ঘোষণার সময় যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারাই কেবল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ নির্বাচনে তিনজন মাত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাছান ইমান খাঁন সোহেল হাজারী, আতাউর রহমান খান (বিএনএফ) ও ইমরুল কায়েস (এনপিপি)। নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণের পর থেকেই তারা প্রচার শুরু করতে পারবেন। এ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকীর দাখিল করা একটি রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে এতদিন নির্বাচন ঝুলে ছিল। গত ১৮ জানুয়ারি আপীল বিভাগ কাদের সিদ্দিকীর আবেদন খারিজ করলে নির্বাচনে আইনী বাধা দূর হওয়ায় উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯০ হাজার ৫৫। মোট ভোটকেন্দ্র ১০৭টি, মোট ভোটকক্ষ ৬৬১টি। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার ১০৭ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৬৬১ জন ও পোলিং এজেন্ট রয়েছেন ১ হাজার ৩৮৮ জন। ২০১৫ সালে পবিত্র হজ নিয়ে বক্তব্যের জেরে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত হন। পরে তিনি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর এই সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। পরে নির্বাচন কমিশন ওই বছরের ২৮ অক্টোবর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। পরে ভোটগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ১০ নবেম্বর করা হয়। কিন্তু এ আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। ঋণখেলাপের অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনে আপীল করলে তা ওই বছরের ১৮ অক্টোবর খারিজ হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কাদের সিদ্দিকীর রিট আবেদনের ওপর রায় দেন। এতে মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আপীল করেন কাদের সিদ্দিকী। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন আপীল বিভাগ। এই রায়ের ফলে এ আসনের উপনির্বাচনে আর কোন বাধা নেই। ফলে নির্বাচনের জন্য নতুন করে আবার তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচন এ ইসির অধীনে শেষ নির্বাচন। মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় আর কোন নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না। তবে জানা গেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হওয়ায় এ সিটির নির্বাচনের জন্য বর্তমান ইসির অধীনেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া গাইবান্ধা-১ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণাও এই ইসির অধীনে হতে পারে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন কমিশনার বিদায় নিচ্ছেন। এরপরই নতুন ইসি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তারাই পরবর্তী নির্বাচন পরিচালনা করবেন। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন তার নিজস্ব ভবনের অফিস স্থানান্তর করা হয়েছে। গত রবিবার থেকে নতুন ভবনে অফিস শুরু হয়েছে। রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই ভবনে অফিস স্থানান্তরের পর টাঙ্গাইল-৪ আসনের নির্বাচনই হবে কোন ইসির অধীনে প্রথম নির্বাচন।
×