ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জঙ্গী এবং মাদকের বিরুদ্ধে জনমত ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

জঙ্গী এবং মাদকের বিরুদ্ধে জনমত ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও মাদকাসক্তের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে কোন জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। এর সঙ্গে যারা জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করে বিপথে চালিত করছে তাদেরও বিচার হবে। আর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারীদের যারা মদদ দেয়, লাখো শহীদের রক্ত স্তাত জাতীয় পতাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল- বাংলার মাটিতে তাদেরও বিচার হতেই হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘প্রতিটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর প্রতি আমার নির্দেশ, তোমাদের নিজ নিজ এলাকায় যারা নিরক্ষর মানুষ আছে তাদের খুঁজে বের করে অক্ষর দান করবে। যাতে দেশের কোন মানুষ নিরক্ষর না থাকে। আর রাজনীতির পাশাপাশি তোমাদের প্রধান লক্ষ্যই থাকবে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের গড়ে তোলা। কারণ তোমাদেরই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দিতে হবে। আদর্শ-নীতি নিয়ে দেশ সেবার ব্রত নিয়ে নিজেদের গড়ে তুলবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেতু ছাত্রলীগের নীতি হচ্ছে শিক্ষা শান্তি প্রগতি। কাজেই শিক্ষার আলো জ্বেলে প্রগতির পথ বেয়ে শান্তির পথ হয়ে প্রগতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে আমরা প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছি। এটা যেন থেমে না যায়। তার জন্য ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে নিজেকে তৈরি করতে হবে। এই দেশ এই রাষ্ট্র পরিচালনায় একদিন তোমাদের মধ্য থেকেই কেউ না কেউ উঠে আসবে। কিন্তু সেসময় যেন আর পিছনে ফিরে যেতে না হয়। আমরা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ সংগঠনটির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ৬৯ বছর বয়সী সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের মিলনমেলা বসেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের নাম দেয়া হলেও হাজার হাজার সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের উপস্থিতিতে তা শেষ পর্যন্ত বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। সুবিশাল প্যান্ডেল ছাপিয়ে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই ছাত্রনেতাদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। দীর্ঘদিন পর একে অপরকে কাছে পেয়ে যেমন আনন্দে মেতে থাকেন, তেমনি অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়েও সাবেক ছাত্রনেতারা হয়ে পড়েন আবেগপ্রবণ। যে সংগঠনটির একজন কর্মী হিসেবে রাজনীতির হাতে খড়ি, সেই ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে স্মৃতিরোমন্থন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীও বারবার আবেগে জড়িয়ে পড়েন। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দু’জনই বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ নিয়ে সততা নিয়ে সংগঠন করার শপথ গ্রহণ করান সারাদেশ থেকে আগত ছাত্র নেতাদের। তারা এও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, কেউ সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অসৎ কিংবা বিতর্কিত কর্মকা-ে লিপ্ত হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি সামান্যতম ক্ষুণœ করার চেষ্টা করে- তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকেই রেহাই দেয়া হবে না। একইসঙ্গে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানকে ঘিরে আর যাতে কোন জনদুর্ভোগের সৃষ্টি না হয়, সেজন্য এখন থেকে শুধুমাত্র শুক্র ও শনিবার সরকারী বন্ধের দিনে ছাত্রলীগ র‌্যালি, সমাবেশ ও অন্যান্য কর্মসূচী পালন করবে। ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নায়ক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও আরেক সভাপতি এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় মঞ্চে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত জীবিত থাকা ছাত্রলীগের অধিকাংশ সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই উপস্থিত ছিলেন। দলের এসব সাবেক নেতাদেরও ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে সম্মান জানায় ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্ব। বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাত্রনেতাদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। প্রথমেই জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী, আর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উত্তোলন করেন সংগঠনের পতাকা। মঞ্চে উপবিষ্ট হওয়ার পর পরই ছাত্রলীগের থিম সংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। সমবেত কন্ঠে পরিবেশিত ‘পুরানো সেই দিনের কথা বলবে কী রে আয়’ গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান প্রধানমন্ত্রী নিজেও। এরপর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। মঞ্চে উপবিষ্ট ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের পরিচয় এবং তাদের ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দিয়ে সম্মান জানানোর পরই শুরু হয় আলোচনা পর্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ অন্ধকার থেকে এখন আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। দেশ আজ সব দিক থেকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই আলো ও প্রগতির পথে অগ্রযাত্রা যাতে থেমে না যায় সেজন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বসভায় আজ বাংলাদেশের যে মর্যাদা সৃষ্টি হয়েছে তাও সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু নিজস্ব অর্থায়নে যদি আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিশাল অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারি, তবে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে পারব না কেন? আমরা প্রমাণ করেছি, আমরাই পারি। আমরাই পারব দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধশালী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। সেই আত্মবিশ্বাস আমাদের রয়েছে। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধন-সম্পদ চিরদিন থাকে না। আদর্শ ও নীতি নিয়ে দেশকে কিছু দিতে পারাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। একমাত্র শিক্ষায় পারে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে। আর ছাত্রলীগের নীতিই হচ্ছে- ‘শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি।’ এটা মনে রেখেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। আমি নিজের ছেলে-মেয়েদেরও একটাই সম্পদ দিয়েছি- তা হলো শিক্ষা। শিক্ষাকে কেউ কোনদিন হাইজ্যাক করতে পারবে না, কেড়ে নিতে পারবে না। শিক্ষা থাকলে সেটাই হবে তাদের চলার পাথেয়। অশিক্ষিতের হাতে দেশ পড়ে কী দূরাবস্থা হয়, ’৭৫ সালের পর থেকে দেশের মানুষ তা দেখেছে। জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকাশক্তির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ মাদক একটা মানুষকে সর্বনাশের পথের ঠেলে দেয়। মাদকাশক্তি শুধু একজন মানুষকে নয় একটা পরিবারকে ধ্বংসের দিকেও ঠেলে দেয়। আর জঙ্গীবাদ নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয় এটা একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। এই সমস্যার উৎসটা কি? আমরা ধর্মে বিশ্বাস করি। ইসলাম ধর্মে জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসের স্থান নেই। মানুষ খুন করে কেউ বেহেশতে যেতে পারে না। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের জঙ্গীবাদে প্রলুব্ধ হওয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, তারা কিভাবে একটা ভাল ও অর্থশালী পরিবারের সন্তান হয়েও জঙ্গীবাদের পথে যেতে পারে! কিসের আশায়! জঙ্গীবাদের পথে গেলেই বেহেশতে যাবে! যারা গেছে তারা কি তাদের খবর পাঠিয়েছে তারা বেহেশতে গেছে! সেই খবর তো কেউ দিতে পারেনি। তাই এদের যারা বিভ্রান্ত করছে তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশে কোন জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের স্থান হবে না। পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতি অনুরোধ মাদকাশক্তি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে থাকতে হবে। আর এ পথে যারা যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। একটা ছেলে-মেয়ের জীবন অনেক মূল্যবান। তারা নিজেকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেবে এটা কখনও হয় না। এটা কখনও হতে পারে না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, খালেদা জিয়া যখন হুমকি দিল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে ছাত্রদলই যথেষ্ট। আমি তখন ছাত্রলীগের হাতে কাগজ-কলম তুলে দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্ব সভায় আমরা যে মর্যাদা পেয়েছি সেই মর্যাদা আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা পারব এই বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। এটা আমরা পারব। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমাদের চলতে হবে। পারব না এই কথা নয় বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২১ সাল আমাদের রূপকল্প ঘোষণা দিয়েছিলাম। এখন বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে আছে। বাংলাদেশ নিম্নে থাকবে না, উর্ধে উঠবে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা অবশ্যই মধ্যম আয়ের দেশ করতে পারব। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় উন্নত সদৃদ্ধ দেশ হবে। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলব। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে একটি শান্তির বাংলাদেশ। সেভাবে আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতা বলেছিলেন বাংলাদেশ হবে সুইজারল্যান্ড অব দ্য ইস্ট। অর্থাৎ প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে তিনি বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। আমাদের এই সুযোগ আছে। আজকে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশা আল্লাহ এই বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এ সময় তিনি আবেগজড়িত কন্ঠে বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি আর মাত্র ১০টি বছর বেঁচে থাকতেন তবে বাংলাদেশ আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠত। ছাত্রলীগ সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগ এই দেশের প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ছাত্রলীগের কত কর্মী মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন এই কথা মনে রাখতে হবে। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামেই ছাত্রলীগের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। কেননা ছাত্রলীগের ইতিহাসই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস। সেই ঐতিহ্য সামনে নিয়ে ছাত্রলীগকে গড়ে তুলে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে- এটাই আমি চাই। আমাদের বয়স হয়েছে। আজকে যারা তরুণ ও ছাত্র তারা আগামী দিনের প্রজন্ম। যাদের হাতে ভবিষ্যত নেতৃত্ব উঠবে। তাদের আদর্শ নীতিতে নিজেদের তৈরি করতে হবে। দেশ সেবার ব্রত নিয়ে বাংলার জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
×