ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারের সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

পুঁজিবাজারের সূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে বেশ কিছুদিন ধরেই তেজিভাব বিরাজ করছে। অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের ইতিবাচক বক্তব্যের কারণেই তেজিভাব বজায় রয়েছে বাজারে। প্রতিদিনই মূল্যসূচক বেড়ে সর্বোচ্চ অবস্থানে যাচ্ছে। মঙ্গলবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। এদিন ডিএসইএক্স বা প্রধানমূল্য সূচক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি সূচকটি চালু হওয়ার পর এটিই সর্বোচ্চ অবস্থান। এছাড়া শরীয়াহ ও বাছাই সূচকটিও সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, লেনদেন সামান্য কমলেও দুই হাজার কোটির ঘর অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে দুই হাজার ১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ১৬৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা কম। সোমবার ডিএসইতে দুই হাজার ১৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির শেয়ার দর। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মঙ্গলবারে আগের দিনে ধারাবাহিকতায় ব্যাংক খাতের প্রাধান্য দেখা গেছে। সার্বিকভাবে দিনটিতে লেনদেন ও দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত। তবে দিনটিতে অন্যান্য খাতের কোম্পানিগুলোর দর কমেছে বেশি। এই দিনে লেনদেনের শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৫টিই ব্যাংক খাতের। অন্যদিকে দরবৃদ্ধির ৭টিই ব্যাংক খাতের। সারাদিনে ব্যাংক খাতের শুধু মার্কেন্টাইল ছাড়া সবগুলোরই দর বেড়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা খাতেরও দর বেড়েছে। এর বিপরীতে বস্ত্র, প্রকৌশল খাতের বেশিরভাগ কোম্পানিরই দর কমেছে। একইভাবে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচকও সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। এই সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০১ পয়েন্টে। এই সূচকটি ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি চালু হয়। ডিএস৩০ সূচকও সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। এই সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে দুই হাজার ৪০ পয়েন্টে। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো, সামিট পাওয়ার, সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, বারাকা পাওয়ার, এক্সিম ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও আরএকে সিরামিক। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জাহিন টেক্স, ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলাম ব্যাংক, ফনিক্স ফাইন্যান্স, পূবালী ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, দেশ গার্মেন্টস ও রূপালী ব্যাংক। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, তুং হাই নিটিং, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, নদার্ন জুটস, প্রগেসিভ লাইফ, আরএসআরএম স্টিল, ন্যাশনাল টিউবস ও শাইনপুকুর সিরামিক। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ১১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মবিল যমুনা বিডি, বেক্সিমকো, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এবি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, কেয়া কসমেটিকস ও সিটি ব্যাংক।
×