ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কোটালীপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

কোটালীপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নীতিশ চন্দ্র বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ ॥ কোটালীপাড়ায় নৈয়ারবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইতি সরকারের নানা দুর্নীতিতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টি। তার অসৌজন্যমূলক ও অসদাচরণে শিক্ষকরাও অতিষ্ঠ। ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা-পরিবেশ। সম্প্রতি ওই প্রধান শিক্ষক ইতি সরকারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যালয়টি এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ পেয়েছিল, যা তিনি প্রায় সম্পূর্ণটাই আত্মসাত করেছেন। তিনি ইউনিসেফ প্রদত্ত বিদ্যালয়ের একটি লম্বা ঘর কোন অনুমতি ছাড়াই বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছেন। বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির তালিকা প্রস্তুতের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১শ’ টাকা আদায় করে সব টাকা পকেটস্থ করেছেন। উপবৃত্তি প্রদানের সময় শিক্ষার্থীদের পূর্ণ টাকা না দিয়ে তিনি টাকা কেটে রাখেন। বিদ্যালয়ের চারপাশে বেড়ে ওঠা গাছপালা নিজের খেয়াল-খুশিমতো বিক্রি করে টাকা আত্মাসাত করেছেন। সিøপ-ফান্ডের কোন টাকার হিসাব নেই, কোন উন্নয়নও নেই। তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদানে ১শ’ করে টাকা নেন। সম্প্রতি সরস্বতী পূজা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ৮শ’ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করেন এবং বাকি টাকা খেয়ে ফেলেন। এছাড়াও ভুয়া ছাত্রসংখ্যা ও উপস্থিতি দেখিয়ে উপবৃত্তির কার্ড বৃদ্ধি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতি সরকার এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাবস্থায় দীর্ঘ ১৫ বছরে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা অভিভাবককে না জানিয়ে প্রতিবারই নিজ পছন্দের লোক নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি বানিয়ে বিদ্যালয়ের সমস্ত অর্থ আত্মসাত করে চলেছেন। এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ইতি সরকার সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে পারেননি। অধিকাংশ সময়ই মাথা নিচু করে থাকেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কোন রেজুলেশন বা আয়-ব্যয়ের কোন হিসাবপত্র বা অন্য কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কেশব হালদার অকপটে স্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন কিন্তু কিভাবে হলেন তা তিনি কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেছেন, তিনি এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ এখনও পাননি।
×