ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির খোঁজে দুদকের আরও পাঁচ ইউনিট

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

সরকারী প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির খোঁজে দুদকের আরও পাঁচ ইউনিট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির তথ্য খুঁজে বের করতে নতুন আরও পাঁচটি প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার কমিশনের নির্ধারিত বৈঠকে নতুন করে পাঁচটি ইউনিটের অনুমোদন দেয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি রুখতে দুদক কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে আনতে কমিশন সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে। কমিশনের নির্ধারিত বৈঠকে নতুন করে পাঁচটি ইউনিটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, দেশের সব স্থলবন্দর, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদফতর। পাঁচটি ইউনিটের নেতৃত্ব দেবেন দুদকের পাঁচ পরিচালক। তিন সদেস্যের প্রতিটি দলে একজন করে উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক রয়েছেন। অন্যদিকে দুদকের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী প্রত্যেকটি ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন বলেও তিনি জানান। উপ-পরিচালক বলেন, এ কে এম জায়েদ হাসান খানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে দেশের সব স্থলবন্দর, বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, খন্দকার এনামুল বাছিরের নেতৃত্বে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদফতরে নজরদারি করা হবে। উল্লেখ্য, দুর্নীতি রুখতে বুধবার বিকেলে কমিশনের নির্ধারিত বৈঠকে ১৪টি কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। ১৪টি প্রতিষ্ঠান হলো, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, সিভিল এভিয়েশন, বাংলাদেশ বিমান, কাস্টমস্ ভ্যাট এক্সারসাইজ, আয়কর অধিদফতর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ, মহাহিসাব নিরীক্ষক অফিস (এজি অফিস), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ওয়াসা, ঢাকার সব সাব রেজিস্ট্রার অফিস।
×