ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চার মাস ধরে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী ॥ বান্ধবীকে গ্রেফতারের দাবি

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

চার মাস ধরে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী ॥ বান্ধবীকে গ্রেফতারের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও আর ফেরেনি রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার তিওরকুড়ি গ্রামের স্কুলছাত্রী শিলা আক্তার উর্মি। শিলা দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। চার মাস ধরে সন্ধান করেও তার কোন খোঁজ পায়নি পরিবারের সদস্যরা। বাবা-মায়ের সংসার ভাঙ্গার পর নানির কাছে থাকত শিলা। বেড়াতে যাওয়ার কয়েকদিন পর বান্ধবী বর্ষা বাড়ি ফিরলেও ফেরেনি শিলা। এ ঘটনায় শিলার নানি আলেয়া বেগম দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তাদের ধারণা, শিলাকে কোন চক্র পাচার করে থাকতে পারে। শিলার নানি আলেয়া বেগম জানান, ১২ বছর আগে তার মেয়ে রুমা খাতুনের বিয়ে হয় পালী গ্রামে। সেখানে বেশিদিন সংসার টেকেনি। কিন্তু ততদিনে রুমার কোলজুড়ে জন্ম নেয় শিলা। শিলা যখন খুব ছোট তখন রুমাকে তালাক দেয়। সেই থেকে শিলা তার কাছেই আছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শিলার বান্ধবী বর্ষা শিলার নানির বাড়িতে বেড়াতে আসে। বর্ষা বখতিয়ারপুর গ্রামের লোকমান আলীর মেয়ে। একদিন থাকার পর বান্ধবী বর্ষা বাড়ি চলে যায়। এরই মধ্যে শিলার মামা আলমগীর হোসেনের মোবাইল চুরি হয় বাড়ি থেকে। এ কারণে ছোট মামা আলমগীর হোসেন শিলাকে বকাঝকা করে। ওই ঘটনার কয়েকদিন পর গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বান্ধবী বর্ষা শিলাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তার নানির কাছ থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে শিলা। আলেয়া বেগম জানান, তার নাতনিকে বান্ধবী বর্ষা নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তারা বর্ষার বাড়িতে অনেকবার গেছেন কিন্তু বর্ষা তাদের ভুল তথ্য দিয়ে হয়রানি করেছে। কখনও বলেছে শিলা রাজশাহীর রেস্টুরেন্টে কাজ করছে আবার কখনও বলেছে চাকরি করছে। বর্ষার দেয়া তথ্যানুযায়ী পুঠিয়া উপজেলার রুহুল আলম আলেয়া বেগমকে ফোনে জানান, শিলার খোঁজ তার কাছে রয়েছে। ১০ হাজার টাকা দিলেই শিলাকে তারা বের করে দেবে। একই ভাবে দুর্গাপুরের শ্যামপুর গ্রামের সুবজ আলেয়া বেগমকে জানায়, তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ও খরচপাতি দিলে শিলার খোঁজ পাওয়া যাবে। সবুজ আরও জানায়, শিলাকে রাজশাহী নগরীর মামুনের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তাকে টাকা দিলেই শিলাকে তারা ছেড়ে দেবে। পৌর এলাকার চৌবাড়িয়া গ্রামের সুমন আলেয়া বেগমকে একই ভাবে তথ্য দেয়ার নাম করে টাকা দাবি করে। প্রত্যেকের সঙ্গে আলেয়া বেগম যোগাযোগও করেছেন কিন্তু তাদের দাবিকৃত টাকা আগে পরিশোধ না করায় শেষ পর্যন্ত তারা কেউই শিলার সর্বশেষ অবস্থান জানায়নি।
×