ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর যানজট নিরসনে চালু হবে সার্কুলার রেল ॥ রেলমন্ত্রী

সকল ট্রেনের পুরনো কোচ পর্যায়ক্রমে বদলানো হবে

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

সকল ট্রেনের পুরনো কোচ পর্যায়ক্রমে বদলানো হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পর্যায়ক্রমে দেশের সকল ট্রেনের পুরনো কোচ বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার থেকে দুটি ট্রেনে নতুন বগি যুক্ত করার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা লাল-সবুজ কোচ দিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেসের। উদ্বোধনকালে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ডাবল লাইন হয়ে যাবে। লাকসাম-আখাউড়া শুধু বাকি আছে। আর ঢাকার যানজট নিরসনে সার্কুলার রেল চালু করতে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ প্রকল্পটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে একটি বলেও জানান তিনি। সোমবার সকালে পতাকা উড়িয়ে রেলমন্ত্রী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেসের নতুন কোচযুক্ত ট্রেন উদ্বোধন করেন। এসময় রেল মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মুজিবুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্যারালাল আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হবে। অর্থায়ন পেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেনও চালু করা হবে। বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প। আমরা সকলে মিলে আন্তরিকভাবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এটি বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবুও আমরা যদি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে ঢাকা-থেকে চট্টগ্রামের যাত্রীদের যাতায়াত অনেক সহজ হবে। সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছতে পারবেন রেলযাত্রীরা। সময় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার প্রতিযোগিতা চলছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। আমরাও দ্রুত গতির যোগাযোগের প্রতিযোগিতায় নিজেদের যুক্ত করতে চাই। এছাড়াও ঢাকা থেকে বরিশাল ও বরিশাল থেকে পায়রা পর্যন্ত, আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ করার কথা জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা এ প্রকল্পগুলোও দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চি। রেলওয়ের উন্নয়নে এ সরকার আন্তরিক। আমাদের লক্ষ্য দেশের ৬৪ জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণের জন্য শীঘ্রই দরপত্র আহ্বান করা হবে। আর আগামী মার্চ মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু ও আখাউড়া সেতুর উদ্বোধন করবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেললাইনের কোথাও বাঁশের ব্যবহার হয়নি। এটা অপপ্রচার। অথচ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এ ধরেনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। যা বাস্তবতার সঙ্গে কোন মিল নেই। বাঁশ যেখানে দেয়া হয়েছে সেটি রেললাইনের অংশ নয়। রেল এর উপর দিয়ে যায় না। রেলের কোন লোড এর উপর পড়ে না। তাই এ নিয়ে সমালোচনা কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আপনার ঘটনার সত্যতা যাচাই করে লিখুন এতে কোন আপত্তি নেই। আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একশ’ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হবে বলে জানিয়ে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, সরকারের লক্ষ্য যাত্রীদের ভাল সেবা দেয়া। এ সরকারের অবশিষ্ট মেয়াদের মধ্যে রেলের দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখা যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা কোচগুলোতে যাত্রী পরিবহন আরও আরামদায়ক হবে। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সব ট্রেনের পুরনো কোচগুলোকে বদলে দেয়া হবে। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফিরোজ সালাহউদ্দিনসহ রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাতে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন কোচ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
×